ভরা মৌসুমে আমের দাম ‘কম’ ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তবে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দুই দিনে আমের দাম বেড়েছে। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

কানসাটের আমচাষি ও ব্যবসায়ী বিশ্বনাথপুর গ্রামের রবিউল আওয়াল বলেন, ‘গতকাল থেকে আমের বাজার বাড়তির দিকে, বিশেষ করে আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই পণ্য ক্ষীরশাপাতি আমের দাম বেড়েছে বেশি। দুই দিন আগের বাজারের তুলনায় মণপ্রতি বেড়েছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। ল্যাংড়া আমের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা।’

কানসাট আমের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আব্বাসবাজারের ব্যবসায়ী মো.

মিন্টু মাঝারি মানের ক্ষীরশাপাতি আমের দাম চাচ্ছেন মণপ্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকা। দর–কষাকষি চলছিল ঝিনাইদহের ব্যাপারী মো. লিটন আলীর সঙ্গে। শেষে বিক্রি করেন তিন হাজার টাকা মণ দরে। ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, ‘দুই দিন আগে এই মানের আমের দাম ছিল মণপ্রতি ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। ক্ষীরশাপাতি আম এখন শেষের পথে। এ আমের দাম আরও বাড়বে কিছুদিন।’

শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের নাককাটিতলা গ্রামের আমচাষি মো. টুটুল ঝিনাইদহের ব্যাপারী লিটন আলীর কাছে ল্যাংড়া আম বিক্রি করেন ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে। দুই দিন আগে এ মানের আম ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

কানসাটের একটি আড়তে কথা হয় রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক সিরাজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি কোম্পানির হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে কানসাট থেকে ক্ষীরশাপাতি জাতের আম কিনি। এ জাতের শেষ দিকের আম কিনি। তখন এগুলোর স্বাদ ভালো থাকে। এগুলো উপহার দেওয়ার জন্য কেনা হয়। সেরাটা কেনার চেষ্টা করি। আজ ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে কিনেছি ৬ হাজার কেজি। ৫২ কেজিতে মণ ধরে কেনা হয়েছে। এর মধ্যে মণপ্রতি ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকার আমই বেশি আছে।’

আড়তদার মজিবুর রহমান বলেন, আজ বাজারে অনলাইনের আম বিক্রেতারা নেমেছেন বেশি। আমের দামও তাই বেশি। তাঁরা বাজার থেকে ভালো মানের আম কেনেন। ভালো আমের দাম সব সময়ই বেশি থাকে। মাঝারি মানের আমের দাম মণপ্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আজ। তবে আম্রপালি জাতের আমের দাম কমেছে মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ হ জ র ২০০ ম ন র আম আম র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম বিশ্বকে বদলে দেওয়া এক বিদ্যাপীঠ

ইসলামের ইতিহাসে সেলজুক যুগে শিক্ষার ক্ষেত্রে এমনই এক বিপ্লব সংঘটিত হয়, যা পুরো মুসলিম বিশ্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। এই বিপ্লবের নাম নিজামিয়া মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাগুলো শুধু শিক্ষার কেন্দ্র ছিল না, বরং ইসলামি সভ্যতার পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

সেলজুক মন্ত্রী নিজামুল মুলক তুসির দূরদর্শী চিন্তা ও পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাগুলো জ্ঞানের বিস্তার, সুন্নি মতবাদের প্রচার এবং শিয়া প্রভাব মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। কোরআনের ভাষায়, ‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।’ (সুরা যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)

এই আয়াতের আলোকে নিজামিয়া মাদ্রাসা ইলম ও তাকওয়ার মাধ্যমে ইবাদতের পথকে প্রশস্ত করেছে।

নিজামিয়া মাদ্রাসার উৎপত্তি

নিজামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যদিও কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন, মাদ্রাসার সূচনা দ্বিতীয় বা তৃতীয় হিজরি শতকে হয়েছিল, তবে নিজামুল মুলক ৪৫৯ হিজরিতে বাগদাদে প্রথম নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষাকে একটি সুনির্দিষ্ট ও সংগঠিত কাঠামোয় নিয়ে আসেন।এর আগে শিক্ষা মূলত মসজিদের হালাকায় স্বেচ্ছাভিত্তিক ছিল।

সেলজুক আমলে (১০৬৮ ইং) নির্মিত ইরানের খারগির্দে অবস্থিত নিজামিয়া শিক্ষাব্যবস্থায় পরিচালিত একটি মাদ্রাসা ভগ্নাবশেষ

সম্পর্কিত নিবন্ধ