রাজবাড়ী সদর উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর (১৫) বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কনের বাবাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের একটি ছেলের সঙ্গে। এ জন্য ১৩ আগস্ট রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মেয়ের বয়স বাড়িয়ে ১৮ দেখানো হয়। গতকাল বিকেলে কনের বাড়িতে বিয়ের সব আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্য ওই বাড়িতে যান। তখন কনের পরিবার মেয়ের বাল্যবিবাহ না দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এদিকে বেলা গড়িয়ে বিকেল হয়। কনের বাড়িতে দলবল নিয়ে আসেন বর পক্ষের লোকজন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার প্রস্তুতির খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী। এ সময় ওই বাড়িতে বর পক্ষের লোকজন থাকলেও পালিয়ে যান বর। এ সময় কনের বাবাকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে তিনি মুচলেকা দেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়ানো হলেও তা আইনসিদ্ধ নয়। অভিভাবকদের অনেকেই বিষয়টি জানেন না। সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কষ্ট পুষে রাখা মানুষটির আজ জন্মদিন

১৮ অক্টোবর ২০১৮। সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়ল খবরটা—আইয়ুব বাচ্চু নেই! বেলা বাড়তেই হাসপাতাল লোকারণ্য। চট্টগ্রামের শেষযাত্রার আয়োজনে জনসমুদ্র। এত বিষণ্নতা নিকট অতীতে দেখেনি ব্যান্ড সংগীতের সাম্রাজ্য। শুধু কি সাম্রাজ্য? ফিকে হয়ে গেল এ প্রজন্মের ব্যান্ড সংগীত অনুরাগীদের ছেলেবেলা! চলে গেলেন ‘গিটারের জাদুকর’! এই শোক কতটা কাটিয়ে উঠতে পারবে দেশের ব্যান্ড সংগীতাঙ্গন? আপামর সংগীতপ্রেমীর দল? মাত্র ছাপ্পান্নতেই সব শেষ! ক্যালেন্ডারের পাতায় যদি সেই দিনটি না থাকত, ১৮ অক্টোবর ২০১৮? তাহলে আজ তিনি পূর্ণ করতেন ৬৩, পড়তেন ৬৪তম বছরে। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে মাত্র ছাপ্পান্ন বছরের সময় হাতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বাবা চেয়েছিলেন ছেলের এমন একটা নাম হবে, যা অন্য কারও নেই। যেমন আইয়ুব আলী, আইয়ুব হোসেন—এমন তো হয়-ই। দুটি নাম থেকে আলাদা অংশ নিয়ে রাখা হলো, আইয়ুব বাচ্চু। সেই থেকে তিনি হলেন ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’।

মা-বাবার আদরের ছেলে। তাই বলে যে সংগীতচর্চার জন্য খুব একটা অনুকূল পরিবেশ তিনি পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই সংসারে থেকেও বোহেমিয়ান আইয়ুব বাচ্চু। বাউন্ডুলে স্বভাবের জন্য সংসারের কিছুই যেন স্পর্শ করতে পারছিল না তাঁকে। বাবার ব্যবসায় মন বসে না, লেখাপড়ায় মন বসে না। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ ছিল তাঁর।

সব ছাপিয়ে আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন গিটারের জাদুকর

সম্পর্কিত নিবন্ধ