জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের পূর্বঘোষিত সময়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের পুনঃসাক্ষাৎকারের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন সাক্ষাৎকারে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়া হবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার পোর্ট কন্টেইনার রোডে অবস্থিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের অফিসে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাক্ষাৎকার কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য একটি বাস ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো প্রক্টর অফিসে আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দেননি, তাদের সাক্ষাৎকারের দিন হার্ডকপি সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হার্ডকপি ছাড়া কাউকে সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে, ১৪ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত তিন ধাপে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেসব শিক্ষার্থী ওই সময় সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে পারেননি, তাদের সুবিধার্থেই পুনঃসাক্ষাৎকারের এ ব্যবস্থা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ