জবির ‘মেধাবী’ প্রকল্পে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের পুনঃসাক্ষাৎকার ১৯ জুন
Published: 18th, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের পূর্বঘোষিত সময়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের পুনঃসাক্ষাৎকারের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন সাক্ষাৎকারে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়া হবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার পোর্ট কন্টেইনার রোডে অবস্থিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের অফিসে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাক্ষাৎকার কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য একটি বাস ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো প্রক্টর অফিসে আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দেননি, তাদের সাক্ষাৎকারের দিন হার্ডকপি সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হার্ডকপি ছাড়া কাউকে সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে, ১৪ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত তিন ধাপে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেসব শিক্ষার্থী ওই সময় সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে পারেননি, তাদের সুবিধার্থেই পুনঃসাক্ষাৎকারের এ ব্যবস্থা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক দম্পতি পেলেন জিপিএ ৪.১১
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের সাংবাদিক দম্পতি কাইসার হামিদ ও রোকেয়া আক্তার। ৩১ বছরের সংসারের পাশাপাশি দু’জনেই পেশাগত কাজে ব্যস্ত। পাঁচ ছেলেমেয়ের একজন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন, বাকিরা পড়ছেন। এর মধ্যে এ দম্পতির দারুণ এক সাফল্য আনন্দে ভরিয়ে তুলেছে তাদের পরিবার, স্বজন ও পরিচিতজনদের। তারা দু’জনেই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.১১ পেয়ে পাস করেছেন।
কাইসার হামিদের বয়স এখন ৫১ বছর এবং রোকেয়া আক্তারের ৪৪ বছর। হামিদ প্রায় ৩২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি তিনি। রোকেয়াও কয়েক বছর ধরে আরেকটি দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি।
তারা দু’জনেই এ বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। দু’জনেরই ফল জিপিএ-৪.১১। তারা ১৯৯৪ সালের ১৬ মার্চ বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।
হামিদ-রোকেয়া দম্পতির ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে। বড় মেয়ে নাসরিন সুলতানা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। দ্বিতীয় মেয়ে জেসমিন সুলতানা স্নাতক শেষবর্ষের ছাত্রী। তৃতীয় সন্তান মায়মুনা সুলতানা প্রীতি নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা পড়ছেন। ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ইয়াসিন নবম এবং আব্দুল্লাহ ফাহিম তাসীন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এত বছর পর কেন লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করলেন– এমন প্রশ্নের জবাবে কাইসার হামিদ বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। কিন্তু লেখাপড়াটা করা হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া তিনি ৩২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন, সম্মান পেলেও মাঝেমধ্যেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা শুনতে হয়। তাঁর স্ত্রীরও নেই কোনো শিক্ষাসনদ। এক ধরনের গ্লানিবোধ থেকে তারা লেখাপড়ার সিদ্ধান্ত নেন।