সরকারি প্রকল্পের কনসালটেন্সি ফি, ম্যানেজমেন্ট ফিসহ অন্যান্য সেবা খাতের ফি হিসেবে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এসব ফি পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে কনসালটেন্সি ফি, ম্যানেজমেন্ট ফি ও অন্যান্য সেবা খাতে টাকা পাঠানোর (আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্স) সাধারণ অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে বেশকিছু নির্দেশনাও মেনে চলতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিদেশি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন বিল পাঠাতে নতুন নির্দেশনা

দেশে ১৪ দিনে এল ১১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

এর মধ্যে প্রকল্পটি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ও অর্থায়নসহ চূড়ান্ত স্বীকৃতি থাকতে হবে, বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক, রেমিট্যান্সের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের চালান এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষের ‘সেবা প্রাপ্তির সনদ’ জমা দিতে হবে। মূল চালানের ওপর প্রযোজ্য উৎসে কর, ভ্যাটসহ সব কর আদায় করতে হবে।

শুধু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত ব্যাংকের অথরাইজড শাখায় এই রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে।  টাকা পাঠানোর আগে মনোনীত শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে। রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নলেজ, টেকনিক্যাল অ্যাসিটেন্স এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পাঠাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।

বিদেশি মুদ্রা পাঠাতে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর ধারা ৩(৪) অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা, কেওয়াইসি বিধিমালা অনুসরণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল ও দলিল বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনার ফলে সরকারের মেগা প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের কাজে অর্থ প্রবাহ ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এনএফ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ