সরকারি প্রকল্পের কনসালটেন্সি ফি পাঠাতে নতুন নির্দেশনা
Published: 18th, June 2025 GMT
সরকারি প্রকল্পের কনসালটেন্সি ফি, ম্যানেজমেন্ট ফিসহ অন্যান্য সেবা খাতের ফি হিসেবে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এসব ফি পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে কনসালটেন্সি ফি, ম্যানেজমেন্ট ফি ও অন্যান্য সেবা খাতে টাকা পাঠানোর (আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্স) সাধারণ অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে বেশকিছু নির্দেশনাও মেনে চলতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বিদেশি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন বিল পাঠাতে নতুন নির্দেশনা
দেশে ১৪ দিনে এল ১১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
এর মধ্যে প্রকল্পটি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ও অর্থায়নসহ চূড়ান্ত স্বীকৃতি থাকতে হবে, বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক, রেমিট্যান্সের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের চালান এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষের ‘সেবা প্রাপ্তির সনদ’ জমা দিতে হবে। মূল চালানের ওপর প্রযোজ্য উৎসে কর, ভ্যাটসহ সব কর আদায় করতে হবে।
শুধু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত ব্যাংকের অথরাইজড শাখায় এই রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে। টাকা পাঠানোর আগে মনোনীত শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে। রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নলেজ, টেকনিক্যাল অ্যাসিটেন্স এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পাঠাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
বিদেশি মুদ্রা পাঠাতে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর ধারা ৩(৪) অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা, কেওয়াইসি বিধিমালা অনুসরণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল ও দলিল বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনার ফলে সরকারের মেগা প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের কাজে অর্থ প্রবাহ ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/এনএফ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে স্ত্রীকে হত্যা, পুকুরে মিলল লাশ
সকালে বোন সাবিনা বেগমকে গাড়িতে তুলে দেন ভাই দুলাল আহমদ। বোনের জামাই আনু মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির পথেও যাত্রা করেন। কিন্তু স্বামীর ঘরে আর ফেরা হয়নি সাবিনার। তারা লাশ পাওয়া গেল পুকুরে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী তাকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। ঘটনার পর বুধবার রাতে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
সাবিনা বেগম (৩০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের নোয়াই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। আটক স্বামী আনু মিয়া একই উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে। দাম্পত্য কলহের যার ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাবিনা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে রওনা দেন। সাবিনার ভাই দুলাল তাদেরকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। কুনু মিয়া নিয়মিত রাস্তায় না গিয়ে বিকল্প পথে রাস্তায় যান। বিকেলে বাগলা এলাকার শওকত মাস্টারের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি পুকুরে লাশ পাওয়া যায় সাবিনার। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু সাবিনার স্বামী কিভাবে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে যায় সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
রাতে আনু মিয়াকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কীভাবে, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে আটক আনু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।