লিওনেল মেসি আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনা ছেড়েছেন ২০২১ সালের ৮ আগস্ট। প্রায় চার বছর হতে চললেও এখনো ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ চোকেনি দুই পক্ষের। এখনো বার্সেলোনার কাছে টাকা পান মেসি।

দীর্ঘ সময় পর অবশেষে সেই বকেয়া বেতন পেতে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আগামীকাল ৩০ জুন বার্সেলোনা মেসিকে তাঁর বেতনের শেষ কিস্তি পরিশোধ করবে। খবরটি দিয়েছে বার্সেলোনাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কিউলম্যানিয়া।

বার্সেলোনার একাডেমিতে বেড়ে ওঠা মেসি ক্লাবটির মূল দলের হয়ে ২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত খেলেছেন। বার্সেলোনা আর্থিক কারণ দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাব ছাড়তে হয় মেসিকে। এর আগে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে অন্য অনেক ক্লাবের মতো বার্সেলোনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সেই সময় নিজের বেতনের একটি অংশ স্থগিত রাখতে রাজি হন মেসি। বার্সেলোনা ছাড়ার পর পিএসজি ঘুরে মেসি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে থিতু হয়েছেন। বার্সেলোনাও কিস্তিতে তাঁর বকেয়া পরিশোধ করে গেছে। এখন বাকি আছে ৫৯.

৫০ লাখ ইউরো।

মেসি ছিলেন বার্সার প্রধান মুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৬০০ মিলিয়ন ভিউ হওয়া সিরিজটি এবার কোন রেকর্ড গড়বে

গল্পটি এক দশক আগেই লেখা ছিল। কেউ বিশেষ পাত্তা দেয়নি। ‘প্যারাসাইট’ অস্কার জেতার পর হঠাৎ কোরীয় কনটেন্ট নিয়ে মেতে ওঠে তাবৎ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। গল্পটিও কলকে পায়। এরপরের গল্প তো আপনার জানা, ২০২১ সালে মুক্তির পর স্ট্রিমিংয়ের সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দেয় ‘স্কুইড গেম’। গত বছর মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় মৌসুম নিয়েও কম চর্চা হয়নি। সিরিজটির তৃতীয় ও শেষ মৌসুম মুক্তি পাচ্ছে আজ শুক্রবার।

আরও পড়ুনঝড় তুলেছে ‘স্কুইড গেম ২’০২ জানুয়ারি ২০২৫

ঋণজর্জরিত সিয়ং গি-হুনকে ঘিরে এগিয়েছে সিরিজের গল্প। মোটা অঙ্কের নগদ পুরস্কারের লোভে যিনি ভয়ংকর শিশুতোষ খেলায় অংশ নেন। বিষয়গত দিক থেকে ‘প্যারাসাইট’ ও ‘স্কুইড গেম’-এর মিল আছে। আর এই সাদৃশ্য নেহাত কাকতালীয়ও নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে যে পাহাড়সমান অর্থনৈতিক বৈষম্য, পরিচালকদের বারবার প্রেরণা জুগিয়েছে, সেই জ্বলন্ত বাস্তব। তবে এই সোশ্যাল স্যাটায়ারের কেন্দ্রে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার শিশুদের কয়েকটি খেলা। ঋণে জর্জরিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিরাট অঙ্কের অর্থ-পুরস্কার জেতার লোভে অংশ নেয় একটি রহস্যজনক খেলায়, যেখানে প্রতি পদে মৃত্যুর হাতছানি। খেলাগুলোর বেশ কয়েকটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের দেশেই ছোটবেলায় খেলা হয়। তাই এই শো যতটা দক্ষিণ কোরীয়, ততটাই বিশ্বজনীন। বিনোদনের আড়ালে সিরিজটি দিয়ে পুঁজিবাদকে একহাত নিয়েছেন নির্মাতা।

রেকর্ড ভিউ
দুই কিস্তি মিলিয়ে ‘স্কুইড গেম’–এর ভিউ ৬০ কোটি! এর মধ্যে ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম মৌসুমই এখনো নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় শো। মুক্তির মাত্র তিন দিনের মাথায়ই এটি অ-ইংরেজিভাষী শোয়ের টপ টেন তালিকায় ঢুকে পড়ে। নেটফ্লিক্সে এখন পর্যন্ত এটি তৃতীয় সর্ববৃহৎ মৌসুম। তৃতীয় কিস্তি যুক্ত হলে এই সংখ্যা আরও ফুলেফেঁপে উঠবে সন্দেহ নেই।

‘স্কুইড গেম ৩’-এর দৃশ্য। ছবি: নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেতানিয়াহুকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে, বললেন সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনেট
  • চট্টগ্রাম কারাগারে ৩ গুণের বেশি বন্দী, জমি পাওয়া যাচ্ছে না নতুন কারাগারের
  • ৬০০ মিলিয়ন ভিউ হওয়া সিরিজটি এবার কোন রেকর্ড গড়বে