এবার পুলিশের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা তিনটায় চট্টগ্রামের ষোলশহরে তিন সংঘঠনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইর হাসান এ লক্ষ্যে আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এই দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নগরের ষোলশহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

পটিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার, সড়ক অবরোধ ও ওসির অপসারণের দাবিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ইমন সৈয়দ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে চলমান অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও জনভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। গতকাল ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করে রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি তো আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল তাঁকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনা।’

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। থানায় নিয়ে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। এ নিয়ে পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ।

এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে পটিয়া থানা ঘেরাও ও ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল ৯টা থেকেই থানা ঘেরাও শুরু করেন। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিলে এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন তাঁরা। একই দাবিতে উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনের নগরের জাকির হোসেন সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

এবার পুলিশের সংস্কার চাইল এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

এবার পুলিশের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা তিনটায় চট্টগ্রামের ষোলশহরে তিন সংঘঠনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইর হাসান এ লক্ষ্যে আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এই দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নগরের ষোলশহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

পটিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার, সড়ক অবরোধ ও ওসির অপসারণের দাবিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ইমন সৈয়দ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে চলমান অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও জনভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। গতকাল ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করে রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি তো আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল তাঁকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনা।’

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। থানায় নিয়ে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। এ নিয়ে পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ।

এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে পটিয়া থানা ঘেরাও ও ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল ৯টা থেকেই থানা ঘেরাও শুরু করেন। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিলে এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন তাঁরা। একই দাবিতে উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনের নগরের জাকির হোসেন সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার পুলিশের সংস্কার দাবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-এনসিপির