৬ বা ৭ বছর বয়সে হারিয়ে যান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে। এরপর ৪২ বছর কেটে গেছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুটির বয়স এখন ৪৮ বছর। সুনামগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই ব্যক্তি জানেন না, তাঁর আসল নাম-পরিচয়। শুধু এটুকু মনে আছে, তাঁর জন্মভূমি চুনারুঘাট।
জাহাঙ্গীর নামের এই ব্যক্তি এখন
চুনারুঘাটে খুঁজছেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া শিকড়। বৃহস্পতিবার তিনি সুনামগঞ্জ থেকে চুনারুঘাট এসে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর বাবা-মাকে খুঁজে পেতে সহায়তা চান।
জাহাঙ্গীর জানান, ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাতগাঁও গ্রামের এক ব্যক্তির হাতে পড়েন। তাঁর নাম জারু মিয়া। তিনিই তাঁকে ‘ছেলে’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে লালন-পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে (জাহাঙ্গীর) বিয়ে দেন। বর্তমানে তাঁর চার সন্তান। তবে জারু মিয়া মৃত্যুর আগে তাঁর দুই সন্তানকে সম্পদ দিয়ে গেলেও তাঁকে (জাহাঙ্গীর) কিছুই দেননি। এতে তাঁর মনে সন্দেহ দেখা দেয়, জারু মিয়া হয়তো তাঁর প্রকৃত বাবা ছিলেন না। এরপর এলাকার মানুষের মুখে শুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর শৈশবকাল কেটেছে চুনারুঘাটে।
বর্তমানে জাহাঙ্গীর অবস্থান করছেন মিরাশী ইউনিয়নের চামলতলী গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে। তিনি চুনারুঘাটবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যদি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে কোনো পরিবার তাদের ৬/৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান হারিয়ে থাকে, তারা যেন যোগাযোগ করেন।
ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামল বলেন, তিনি চেষ্টা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে, যাতে জাহাঙ্গীরের পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রীর স্বামী
ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের সংসার ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। বিশেষ দিনে সুস্মিতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তার স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তী।
ফেসবুক পোস্টে সুস্মিতাকে প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সব্যসাচী। এরপর তিনি লেখেন, “ভালো থাক। বড় হ আরো। জন্মদিনে আমার শেষতম শুভেচ্ছায় অনেক ভালো থাকিস। নতুন অধ্যায় ভালো হোক। আমরা আলাদা হচ্ছি। কিছু জিনিস দুই তরফে মিলল না, মন খারাপ দুই তরফেই। সেটা কাটিয়েই এগিয়ে যাওয়া হোক!”
সবাইকে সমালোচনা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে সব্যসাচী লেখেন, “বাকিদের চর্চা, আলোচনা দয়া করে এখানেই শেষ হোক। আপনাদের কাছ থেকে দুই তরফেই গলাগলি আশা করছি, গালাগালি নয়। এরপর আপনাদের যা ইচ্ছে। এই পোস্ট দু তরফের সম্মতিক্রমে, আলোচনা করে। আপনারা এবার প্লিজ আলোচনা থামিয়ে দিন। আমাদের দু জনেরই আলাদা করে অনেক কিছু করার বাকি আছে। প্লিজ।”
আরো পড়ুন:
দাম্পত্য জীবনের এক বছর, স্বামীকে অর্ষার খোলা চিঠি
‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’
পরে এ বিষয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুস্মিতা রায় বলেন, “এটা নিয়ে আসলে একদম আলোচনা করতে চাই না। সব্যসাচী এবং আমি দুজনে মিলে যে পোস্ট করেছি ওইটুকুই সকলকে বলতে চাই। আমি কারো দিকে আঙুল তোলা বা কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি হোক চাই না। আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। কাউকে দোষারোপও করব না। এটা সম্মিলিত একটা সিদ্ধান্ত। দুজন দুজনের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।”
‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিক নাটকে শ্যামার বৌদির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন সুস্মিতা। এরপর ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকে তার অভিনয় সকলের নজর কাড়ে।
ঢাকা/শান্ত