জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ৮৫ শতাংশ এখন ইসরায়েলি-সামরিক অঞ্চলে বা জোরপূর্বক উচ্ছেদের আদেশের অধীনে রয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চ মাসে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ৭ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো জ্বালানি ছিটমহলে প্রবেশ না করায় গাজার জ্বালানি সংকট আরো তীব্র হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো গুরুতর অপারেশনাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার ব্যাপক ক্ষতি, নিরাপদ চলাচলে বাধা এবং চিকিৎসা সরবরাহ ও জ্বালানি প্রবেশের উপর বিধিনিষেধ।”
এদিকে, শুক্রবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাত ২টার দিকে শহরের পশ্চিমে একটি তাঁবু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উত্তর জাবালিয়ায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চিটাগাং ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ বৈষম্যবিরোধীদের, চলছে গাড়ি তল্লাশি
চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হকের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে চিটাগাং ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, এনসিপির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। জাহেদুল হককে আটকের দাবিতে ক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ চলছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের গাড়িও মধ্যরাতে তল্লাশি করছেন শিক্ষার্থী।
জাহিদুল হক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে অর্থের যোগানদাতা ও হত্যাসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এনসিপির প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম সমকালকে বলেন, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জায়েদুল হক তার ছেলের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছে জেনে কিছু ছাত্র-জনতা চিটাগাং ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করছেন। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।
ওসি বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে কোনো আসামি উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।