‘পুরনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসি নাই’
Published: 5th, July 2025 GMT
“পুরনো খেলায় নতুন কোন প্লেয়ার হতে আসি নাই, আমরা খেলার নিয়ম বদলে দিতে এসেছি” বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র পঞ্চম দিন শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার সাতমাথার মুক্তমঞ্চে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছি নতুন বাংলাদেশ লাগবে। নতুন সিস্টেম লাগবে, নতুন আইন কানুন লাগবে। আপনাদের পুরনো খেলায় আমরা অংশগ্রহণ করবো না। আপনাদের চাঁদাবাজির রাজনীতিতে, আপনাদের সন্ত্রাসের রাজনীতিতে আমরা অংশগ্রহণ করব না। আমরা পুরনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসি নাই। আমরা খেলার নিয়ম বদলে দিতে এসেছি। খেলার নিয়ম বদলাতে হবে, রাজনীতির নিয়ম বদলাতে হবে। ভালো ও গ্রহণযোগ্য মানুষদের, যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশের হাল ধরার জন্য। বগুড়ার হাল ধরার জন্য।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই জুলাই পদযাত্রা জেলা থেকে জেলায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে। নতুন দল এসেছে। নতুন নেতৃত্ব এসেছে। আপনাদের সামনে বিকল্প এসেছে। যেই বিকল্পের খোঁজে আপনারা গত ৫৪ বছর ধরে ছিলেন সেই বিকল্প দল আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে। সবাইকে জানিয়ে দিন, এই বগুড়াতে, এই বাংলাদেশে দল কেবল একটি নয়, দুটি নয়। নতুন দল এসেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি এসেছে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে।”
তিনি আরো বলেন, “এই বগুড়া একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। এই পুণ্ড্রনগর থেকে সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি বগুড়া এলাকা সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়েছে। নাগরিকরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, নাগরিকদের সুষম সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।”
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসন, পুলিশ ও আদালতকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “যদি কেউ সেই পুরোনো কায়দায় দলবাজ প্রশাসকের মত আচরণ করে তাদেরও পরিণতি হবে ফ্যাসিস্ট মুজিবাদদের মত। কোনো দলবাজ প্রশাসক কিংবা দলবাজ পুলিশকে ছাড় দেওয়া হবে না। বগুড়ার প্রশাসক, বগুড়ার পুলিশ, আইন-আদালত নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। কোনো দলের পক্ষে থাকা যাবে না।”
এনসিপির এই শীর্ষনেতা বলেন, “আমরা স্মরণ করছি এই বগুড়ায় যারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলো, যারা শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে। আমরা শুনতে পেয়েছি আমাদের আহত ভাইয়েরা এখনও ভালো চিকিৎসা পায়নি। এটা হতে পারে না। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূরণ হয়েছে অনতিবিলম্বে আমাদের আহত ভাইদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। শহীদ পরিবারদের পাশে দাঁড়ান। তাদের মর্যাদা দিন।”
নাহিদ আরো বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তালবাহানা চলছে। আমরা এই বগুড়া থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই নতুন সংবিধানে যুক্ত হবে। আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণা পত্রের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হবে। জুলাই-আগস্ট আর আহতদের যারা সংবিধানে রাখতে চায় না, তারা মুজিববাদের পাহারাদার। জুলাই আমাদের রাজনৈতিক ইশতেহার, রাজনৈতিক গন্তব্য। জুলাইয়ের পথে আগামীর বাংলাদেশ বিরচিত হবে।”
এ পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.
এর আগে আজ শনিবার সকাল ১০টায় বগুড়া শহরের পর্যটন হোটেলে গণঅভ্যুত্থানে বগুড়ায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/এনাম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ন হ দ ইসল ম আপন দ র র জন ত র র জন
এছাড়াও পড়ুন:
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজকে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ দিবস ও ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করে মাউশি। এ সংক্রান্ত চিঠি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। খবর বাসসের
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস (সাধারণ ছুটিসহ) ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর সূত্রোক্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সরকার প্রতিবছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি ঘোষিত ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। পরে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সরকার।