মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৯টি দোকান। শনিবার (৫ জুলাই) রাত ২টার দিকে শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থাকা দোকানগুলোতে আগুন লাগে।
খবর পেয়ে শ্রীনগর ও সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে দলিল লেখার দোকান, মুদি দোকান, টি-স্টল, খাবার হোটেল, ভ্যারাইটিজ স্টোর এবং ফটোকপির দোকান ছিল।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীর মাধবদী বাজারে আগুন, পুড়লো অর্ধশত দোকান
কেরাণীগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন শ র নগর
এছাড়াও পড়ুন:
মবের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “মব সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
রবিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও উত্তরা পূর্ব থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আগের থেকে মবের সংখ্যা অনেকটা কমে এলেও সম্প্রতি কিছু এলাকায় আবারও এমন ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছি।রংপুরের একটি ঘটনায় ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে অন্যায় করবে, সে আর এলাকায় থাকতে পারবে না। তাকে খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতেও মবের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।”
“আগে মব বা এ জাতীয় অপরাধ ঘটলে আমরা তেমন খবর পেতাম না। এখন মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সব তথ্য দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে।”
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয়। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে হয়।”
“আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে।”
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পুলিশের এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের জনবলের ঘাটতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের শিল্প সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।”
উপদেষ্টা বলেন, “দেশে যেহেতু শিল্প ও কলকারখানার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, তাই এই বাহিনীর জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টির সমাধানে সরকার ইতোমধ্যে কাজ করছে।”
উত্তরা পূর্ব থানার কিছু সমস্যা ছিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “থানা পরিদর্শনের পর সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে তাদের ওয়াশরুমের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।”
এ সময় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি গাজী জসিম উদ্দিনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি