প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত
Published: 7th, July 2025 GMT
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সোমবার পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই স্বাধীন বাংলাদেশে গঠিত হয় পিজিআর। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সকালে পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রাষ্ট্রপতি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। রেজিমেন্টের অফিসার ও জেসিওদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, পিজিআরে কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্য পদবির সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৫ শহীদসহ সব প্রয়াত সৈনিককে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়াও পিজিআর সদস্যদের একাগ্রতা, নিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ ও পেশাগত দক্ষতার প্রশংসা এবং সর্বদা নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত প জ আর
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের
ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ
নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।
আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।
ঢাকা/ফিরোজ