Prothomalo:
2025-11-03@02:13:17 GMT

শ্বাসমূল

Published: 8th, July 2025 GMT

তখন সকাল।

তাড়াহুড়ো করে শহরের লোকজন বেরোচ্ছে। জ্যামের শহরে পাঞ্চ মেশিনের ভয় সবার মনেই। এক–দুই মিনিট এদিক–ওদিক হলেই মাস শেষে স্যালারি কাটবে। এমনিতেই সংসার চালানো উচ্চতর গণিতের মতো কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, তার মাঝে যদি বেতনটেতন কাটে, উপায় নেই আর। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে ওঠে শিকদার আলী। গোলাপি রঙের বাস।

জানালার পাশের সিট পেলে নিজেকে দারুণ ভাগ্যবান মনে হয়। না, এই শহরে জানালার পাশে বসলে এমন কোনো ভিউ পাওয়া যায় না। সুবিধা একটাই, দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের কনুইয়ের গুঁতো খাওয়া থেকে মুক্তি। বাস রিকশার মতো চলতে থাকে, যাত্রীরা কন্ডাক্টরকে গালিগালাজ করতে থাকে, ড্রাইভার যেখানে খুশি বাস থামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে—এই সব চিরচেনা দৃশ্যের মধ্য দিয়েও একটা দৃশ্যে চোখ আটকে যায় শিকদার সাহবের।

একজন মেয়ে, বয়স কত হবে, ১৫-১৬, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর পিঠে একটা বড় ব্যাকপ্যাক, ব্যাকপ্যাকের সাথে বাঁধা একটা তাঁবু।

এক মুহূর্তের দেখা। কিন্তু শিকদার সাহেবের মাথায় তা গেঁথে গেল একেবারে।

পুরো রাস্তা যেতে যেতে তার মাথায় এটাই ঘুরতে থাকে। ব্যাকপ্যাক। তাঁবু। পাহাড়। বান্দরবানের কথা মাথায় আসে। ক্যাম্পাসে থাকতে কতবার গিয়েছেন বান্দরবানে। সময় পেলেই। হাতে টাকা নেই, তা–ও। বান্দরবান গেলেই মনে হতো, এই জায়গায় সবকিছু চেনা। জাতিস্মরের মতো। আগের জন্ম যেন এখানেই হয়েছিল। ঘুরে বেড়াতেন এ পাহাড় থেকে সে পাহাড়। আহা রে! বিয়ের পর জীবন থেকে যেন ঘোরাঘুরি মুছেই গেল। বাদুড়গুহা নামে একটা পাথুরে গুহার খোঁজ দিয়েছিল স্থানীয় এক দোকানি। কত শখ ছিল একদিন যাবেন সেখানে। সারা রাত তাঁবু করে থাকবেন বাদুড়গুহার পাশে। সে আর হলো কই! জীবনের ঘানি মনে হয় এটাকেই বলে। চোখের পলকে যেন ১৭ বছর কেটে গেছে। এই ১৭ বছরে জীবনের সফলতা মনে হয় একটাই—মানুষ থেকে একটু একটু করে ডানাগুলো কেটে রোবট হয়ে উঠেছেন। পাহাড়ের আনাচে–কানাচে হাঁটাহাঁটি, ঝিরিপথের নৈঃশব্দ্য, পাতায় পাতায় ঘষা খাওয়ার সংগীত, পাহাড়ি নদী, তাঁবুতে থাকা। জীবন তো ছিল তখনই, এখন তো শুধু বেঁচে থাকার অভিনয়।

এই সব ভাবতে ভাবতে শিকদার সাহেব দেখেন, চলে এসেছেন আরামবাগ। নামার কথা পান্থপথ। বাস সেই কখন পান্থপথ ছেড়ে চলে এসেছে মতিঝিলের আরামবাগ, টেরও পাননি তিনি। মানুষ বড় আশ্চর্য প্রাণী, তার মতিগতি বোঝা দায়। সব সময়ের ঠান্ডা মাথার শিকদার সাহেব নইলে কি আর আজ অফিসের মিটিং ফেলে আরামবাগ চলে আসেন?

বাস থেকে নেমে দীর্ঘ ১০ বছর পর একটি সিগারেট ধরালেন তিনি। লাল বেনসন। শুরুতে ধোঁয়ার ধাক্কাটা বেশ কড়া লাগে। এত দিন পর ধোঁয়া ঢুকেছে শরীরে। তবু তিনি পুরো সিগারেট শেষ করেন। মাথার ভেতরে কিছু একটা হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। যন্ত্র হলে জাংক ফাইল ডিলিট করে দিলেই মনে হয় হতো। আহা রে মানুষ, না হতে পারে যন্ত্র, না হতে পারে মানুষ!

সিগারেট শেষ করে শিকদার সাহেব পাশের কাউন্টার থেকে একটি টিকিট কিনে ফেলেন। ঢাকা টু বান্দরবান। এগারো শ টাকা। ঠিক উনিশ মিনিট পর, ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল শিকদার সাহেবের যাত্রা শুরু হয় বান্দরবানের উদ্দেশে, সিট নাম্বার এফ টু। এই কাজটা কেন করলেন, কীভাবে করলেন এর কোনো উত্তর তার কাছে মনে হয় নেই। সব উত্তর কি আর নিজের কাছে থাকে সব সময়?

২.

দিনের বেলা সারা দিন কাটে মিটিংয়ে অফিসের নানাবিধ কাজকামের মধ্যে। এক কাপ কফি খাওয়ার সময়ও মাঝেমধ্যে পাওয়া যায় না। বহুদিন পর শিকদার সাহেব যেন একটা ঈদের ছুটির ঘুম দিলেন বাসে। বাস চট্টগ্রামে থামে, যাত্রীরা নেমে খাওয়াদাওয়া করে। সেখানেও শিকদার সাহেব নামলেন না। ঘুম যেন বিরক্ত না হয়। যখনই চোখ খোলেন, দেখেন শাঁই শাঁই করে বাস ছুটে যাচ্ছে। ঠিক যেন স্টুডেন্ট লাইফের মতো। সঙ্গে আরও সাত–আটজন বন্ধুবান্ধব আছে। নেমেই নাশতা করে উঠে যেতে হবে বান্দরবানের লোকাল বাসে, বাসে করে সরাসরি থানচি। থানচি থেকে বোট ছাড়ে, বোটে করে রেমাক্রি। আহা রেমাক্রি, মনে পড়তেই চোখ ভিজে যায়। কী এক জায়গা! সেখান থেকে ট্র্যাকিং করে নাফাখুম, আমিয়াখুম। কিংবা বগা লেক হয়ে কেওক্রাডংয়ের চূড়া। এখন নাকি পিচঢালা রাস্তা হয়ে গেছে, কেওক্রাডংয়ে উঠতে ট্র্যাকিং করতে হয় না। একসময়ের শীর্ষ চূড়া কেওক্রাডং, বেচারার অবস্থা ভেবে মায়াই লাগে। আটজনের একটা টিম আস্তেধীরে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছে ট্র্যাকিং করে, এর সঙ্গে কি কারও তুলনা হয়! শিকদার সাহেবের হঠাৎ মনে হয়, তিনি একজন পাহাড়প্রেমী মানুষ। এত দিন টের পাননি।

বান্দরবান নেমে বেশ অবাকই লাগে। বাসস্ট্যান্ড থেকে নেমে চারপাশ দেখেন। তার কাছে মনে হয়, কিছুই পরিবর্তন হয়নি। যা ছিল, তা–ই আছে। ভালোই লাগে। চেঞ্জ না হলেই তো ভালো। এখান থেকে যেতে হবে থানচি। বাদুড়গুহা ওদিকেই। একটা রিকশা নিয়ে একটানে চলে যান রাজার মাঠ। খুব প্রিয় এক চায়ের দোকান ছিল এখানে, এখনো আছে কি না, কে জানে। গিয়ে তার আরও বেশি অবাক লাগে, দোকান তো আছেই, একেবারে যেমন ছিল তেমনই আছে। এমনকি দোকানিও যেমন দেখতে ছিলেন, তেমনই আছেন। কে জানে, আদিবাসীদের বয়স হয়তো কমই বাড়ে। তাই বলে, এত দিনেও, মানে সতেরো বছরেও তার চেহারার বিশেষ পরিবর্তন হবে না? কী আজব!

বাড়িতে এতক্ষণে একবার কল করার জন্য মনে হয় শিকদার সাহেবের। পকেটে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, ফোন নেই। বাসের সিটেই মনে হয় রেখে চলে এসেছেন। কাউন্টারে গিয়ে কথা বলা দরকার। পর মুহূর্তেই আবার মনে হয়, দরকার নেই। ফোন ছাড়াই ভালো। কিছু জানানোরও দরকার নেই। যা হওয়ার হবে। কোনো চাপও লাগে না তার। এই দুনিয়া, জগৎ সংসার নিয়ে অনেক চাপ নিছেন, আর না। দোকানে আরেক কাপ চা দিতে বলেন তিনি।

ততক্ষণে সন্ধ্যা।

৩.

রাতটা কাটিয়েছেন রাজার মাঠের পাশে যে বৌদ্ধবিহারটা আছে, তার এক গেস্টরুমে। একবার এখানে ছিলেন। মাত্র ছয় শ টাকা রুম ভাড়া। একটামাত্র খাট, পাশেই জানালা। জানালা দিয়ে একটা কৃষ্ণচূড়াগাছ দেখা যায়। সতেরো বছরেও ছয় শ টাকার ভাড়া যা ছিল তাই আছে, এটা দেখেই আবারও অবাক লাগে। এত বদলে যাওয়ার তাড়া নেই এখানে। জীবনও খানিক স্লো। ভালো। খুব ভালো। রাতে পেট ভরে খেয়েছেন। ভাত, পাহাড়ি মোরগ আর পাতলা ডাল। নিজের মাঝে ভীষণ রকমের তৃপ্তি খুঁজে পান তিনি, যেন বহুদিন পর প্রাণভরে শ্বাস নিচ্ছেন। এসি রুমে নয়, ঢাকার বাসে নয়, অফিসের মিটিং রুমে নয়, যেখানে তার ভালো লাগে, সেখানে শ্বাস নিচ্ছেন তিনি।

পরদিন রুমা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠে পড়েছেন। গন্তব্য থানচি। শিমিয়ান নামের একজন গাইড ছিলেন, যে বাদুড়গুহা চেনে। তার সঙ্গে যাওয়া দরকার। যোগাযোগই তো নেই। বেঁচে আছে কি না, কে জানে। ফোন থাকলে ফেসবুকে একবার দেখা যেত। এটাও খারাপ না। ফোনও নেই, যোগাযোগও নেই। ফোন সঙ্গে না থাকলেই নিজেরে কেমন জানি স্বাধীন স্বাধীন লাগে। খুব উপভোগ করার মতো বিষয়টা। এই প্রথম ফোন হারিয়ে প্রচণ্ড আনন্দ লাগল তার।

সে এক বাস! কত রকম মানুষ। বাঙালি আদিবাসী সবাই আছে। শিকদার সাহেবই একমাত্র, যার সঙ্গে কিছু নেই। সবার সঙ্গেই বড় বড় ব্যাগ, নয়তো বস্তা। মেমোরি লেনে হাঁটতে হাঁটতে শিকদার সাহেবের মাথায় একে একে চলে আসে অসংখ্য স্টিল পিকচার—ক্যাম্পাসের সেকেন্ড ইয়ারের প্রেম, দেবতা পাহাড়ে জীবনের প্রথম চুমু, এলাচি মদ খেয়ে গাছের নিচেই ঘুমিয়ে পড়া, হঠাৎ আবিষ্কার করা কোনো ঝরনা—একেক জায়গায় একেক রকম স্মৃতির আখড়া যেন। মাঝেমধ্যে মনে হয়, একটু বাড়াবাড়িই যেন হচ্ছে। স্ত্রীকে নিয়ে আরও পাঁচটি দেশ ঘুরেছেন, কত সুন্দর সুন্দর হোটেলে থাকা হয়েছে। বালি কিংবা কলোম্বোর সঙ্গে তুলনা করলে বান্দরবান তো কিছুই নয়, তাহলে এত কেন ইমোশনাল হয়ে উঠছেন? নিজেই নিজের সঙ্গে তখন ডিবেট চলে, মনে হয় লজিক খাটে না সব জায়গায়। অথবা লাইফের প্রথম ওয়াইল্ড অ্যাডভেঞ্চারের সুখস্মৃতি, সে জন্যই হয়তো এত স্পেশাল। আবার কখনো মনে হয়, শহর থেকে এই এক্সিট রুট পেয়েই হয়তো এত ভালো লাগছে। এ যেন নিজেকে আবিষ্কার করার মতো সুখ! এই সব ভাবতে ভাবতেই থানচি এসে পৌঁছায় বাস। এখানেও ভাড়া সেই আগেরটাই, ১২০ টাকা মাত্র। পকেটে ক্যাশ খুব বেশি নেই, কার্ড থেকে টাকা তুলতে হবে। এদিকে তো এটিএম বুথও নেই, বান্দরবান শহর থেকে টাকা তুলে আনলে ভালো হতো। ধুর, যা হওয়ার হবে, এত চিন্তা করার সময় নেই আপাতত। এ ভেবেও অবাক লাগে, ফেলে আসা স্ত্রী-সন্তান, কারও কথাই একবারের জন্যও মাথায় আসছে না!

থানচি বাজারে গিয়ে শিমিয়ানের খোঁজ নিতে হলো। জানা গেল, শিমিয়ান গ্রুপ নিয়ে ট্র্যাকিংয়ে গেছে তিন দিন আগে। ফিরতে ফিরতে আরও দুদিন। অন্য কাউকে নিয়েই যেতে হবে। তাতেও কোনো সমস্যা নেই। চিনলেই হলো। গায়ে স্যুট ছিল, সেটা ফেলে এসেছেন ঢাকার বাসেই। থানচি বাজারে একটা শিঙাড়া দোকান ছিল, বড় বড় শিঙাড়া তৈরি করত। কত দিন আগে এসেছেন, এখনো মনে হয় সব পথ চেনা। সোজা সে রাস্তায় গিয়ে শিঙাড়ার দোকানটা পাওয়া গেল। দুধ, চিনি বেশি দিয়ে এক কাপ চা আর তিনটা শিঙাড়া নিয়ে বসলেন শিকদার সাহেব। এবার প্ল্যান করতে হবে বাদুড়গুহার। এক কাপ চা আর তিনটি শিঙাড়ার দাম নিল বিশ টাকা—এখনো সেই আগের দাম, অবাকই লাগে তার।

জয় নামে একজন গাইড পাওয়া গেল। কিন্তু জয় জানাল, বাদুড়গুহা একটা আছে, সেটা রোয়াংছড়িতে। শিকদার সাহেব যখন শিমিয়ানের কথা বললেন, তখন জয় সঙ্গে সঙ্গে হেসে বলে, আচ্ছা শিমিয়ানের বাদুড়গুহা এদিকেই।

মানে?—অবাক হয় শিকদার।

জয় জানায়, শিমিয়ান এদিক–সেদিক নিজে নিজেই ঘুরে বেড়ায় ছোটবেলা থেকে। সে এদিকে একটা গুহা আবিষ্কার করেছে, যার নাম সে দিয়েছে বাদুড়গুহা। এখন পর্যন্ত খুব মানুষই গেছে সেখানে।

শিকদার মুচকি হাসে। আহা জীবন। এই জীবন কোথায় ছিল এত দিন?

৪.

শিকদার আর জয়, সঙ্গে একজন মাঝি। ট্রলার নৌকা। পাহাড়ি সাঙ্গু নদীর মাঝ দিয়ে ছুটে চলে সে নৌকা। কত রকম কথা পাল তোলে জয়ের সঙ্গে। জয় জানায়, সে একদিন একটা ট্রলার বোট কিনবে। তারপর নিজেই চালাবে। এখন অনেক ট্যুরিস্ট আসে, ব্যবসা খারাপ হবে না। শিকদার বলে তার শহুরে জীবনের কথা। শুধু বলে না সে কীভাবে অফিসে যেতে গিয়ে চলে এল এখানে।

এখনো বাসভাড়া একই, এটা তার খুব অবাক লাগে। এমনকি শিঙাড়ার দাম।

জয় হেসে বলে, শিঙাড়ার দোকানই তো হইছে এক মাস আগে, দাম বাড়াবে কী।

শিকদার বলে, না, আমি অনেক আগে যখন আসছিলাম, এখানে শিঙাড়া খেতাম, এখন মনে হয় তাহলে অন্য লোক চালায়।

জয় মাথা নাড়ে। বলে, এখানে আগে দোকান ছিল না। বিল্লাল নামের এক লোক এখানে গত মাসে শিঙাড়ার দোকান দিসে।

শিকদার কথা বাড়ায় না। জয় মনে হয় জানে না।

আসে শিমিয়ানের কথাও। শিমিয়ানের এক ছেলে ছিল, ক্লাস ফোরে পড়ত। এখন কী অবস্থা।

জয় আবারও হেসে বলে, জয়ের ছেলে ক্লাস ফোরেই পড়ে। এক ছেলে তার।

শিকদার আবারও চুপ হয়ে যায়। এত দিনে শিমিয়ানের ছেলে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ফেলার কথা, যদি পড়াশোনা করে আরকি। কোন শিমিয়ানের কথা বলছে জয়, কে জানে।

নৌকা এগিয়ে চলে আস্তে আস্তে। পানি এখন কম নদীতে, মাঝে মাঝে নদীতে নেমে ধাক্কা দিতে হয়। শিকদার নিজেও নেমে পড়ে। ধাক্কা দেয়। ঠিক আগের মতো। শুধু তার মনে হয়, তার সঙ্গের বাকিদের সে দেখতে পাচ্ছে, তারা সবাই বোটেই আছে। কারও মুখে সিগারেট, কারও মুখে গান।

জয় একসময় জানায় তার নিজের কথা। জানায় তার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা। কথায় কথায় জানায়, থানচির বিখ্যাত ফুটবলার জয়া মারমার কথা। জয়ের মেয়ে বড় হলে তাকেও সে জয়া মারমার মতো ফুটবলার বানাবে।

এই মুহূর্তে এসে থেমে যায় শিকদার। জয়া মারমা রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে আজ তিন বছর হলো, জয় কি সেটা জানে না? না জানার তো কোনো কারণ নেই! কিছু একটা খেলে যায় শিকদারের মাথায়। দশ বছর আগের বাসভাড়া, আগের মতো দেখতে আশপাশের সব, বিল্লালের শিঙাড়া দোকান গত মাসে শুরু করা—সব মিলিয়ে শিকদারের হিসাব মেলে না। সে গিয়ে দাঁড়ায় মাঝির পাশে। মাঝিকে জিজ্ঞেস করে, ‘নৌকা কবে নিসেন?’

মাঝি দূরের পানে তাকিয়ে বলে, এই তো, ‘তিন বছর হইব সামনের আগস্টে।’

শিকদার আবার জিজ্ঞেস করে, ‘তাহলে, কত সালে নিসিলেন?’

মাঝি একটু হিসাব করে জানায়, ‘২০০৫–এর আগস্টে।’

শিকদারের মাথায় এবার সব হিসাব যেন মিলে যায়। শিঙাড়ার দোকান গত মাসে দিসে, সেটাই তো সে জানত, ২০০৮–এ বিল্লাল শিঙাড়ার দোকান শুরু করেছে। তখন বাসভাড়া এতই ছিল। শিমিয়ানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ২০০৮–এ, তখন তার ছেলে ক্লাস ফোরে পড়ত। শিকদার কোনোভাবে আগের সেদিন ভাবতে ভাবতে ২০০৮-এ এসে পড়েছে। এখানের সবকিছু ২০০৮–এ আটকে আছে, নাকি শিকদার নিজেই ২০০৮–এ আটকে গেছে?

শিকদার আস্তে করে মাঝিকে জিজ্ঞেস করে, ‘আজকে কত সালের কত তারিখ ভাই?’

মাঝি একটু বিরক্তই হয়। তাকে কেউ মনে হয় কখনো তারিখ জিজ্ঞেস করে না, সাল জিজ্ঞেস করার তো প্রশ্নই আসে না। সে বিরক্তি না লুকিয়েই উত্তর দেয়, এপ্রিলের ১২। সাল ২০০৮।

মাথায় একটা চক্কর খায় শিকদার। সেই সঙ্গেই নৌকাটা ধাক্কা খায় একটা পাথরে। দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যায় শিকদার। সে দেখতে পায়, সাঙ্গুর পাথর কেমন মিলিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। ধোঁয়ার মতো হারিয়ে যাচ্ছে, মিশে যাচ্ছে বাতাসে। বাতাসে মিশে যেতে যেতে চিরপরিচিত একটা কিছুর মতো হয়ে যাচ্ছে পাথরগুলো। প্রতিদিনের দেখা দৃশ্যের মতো।

৫.

পান্থপথ।

বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়েই হঠাৎ শিকদার দেখতে পান, পান্থপথ চলে এসেছে।

পকেটে ফোন ভাইব্রেট হচ্ছে। শিকদার ফোন বের করেন পকেট থেকে। কোনো এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি স্বপ্নের ফ্ল্যাট কেনার মেসেজ পাঠিয়েছে।

ঘামে ভিজে গেছে পুরো শরীর।

শিকদার সাহেব আস্তে করে উঠে দাঁড়ান। বাস থেকে নামতে হবে। নেমে রিকশা দিয়ে ১৫ মিনিট গেলেই অফিস।

আজকে আবার অফিসে মিটিং।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ জ ঞ স কর ব ন দরব ন অব ক ল গ প ন থপথ ২০০৮ এ জ বন র এস ছ ন এত দ ন একব র দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এবার এক নতুন আলোচনায় এসেছে গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা। রাজনৈতিক দলগুলোর নানামুখী প্রস্তাব ও অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, সরকার যদি চায় তাহলে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একযোগে বা আলাদা দিনেও গণভোট আয়োজন সম্ভব। এজন্যই কমিশন সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আগাম প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, আইন, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, স্থানীয় সরকার, তথ্য, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহনসহ ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল- একদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা, অন্যদিকে গণভোট আয়োজনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ।

গণভোটের প্রস্তুতি নির্দেশনা
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতেই সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “গণভোট নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে এটি হবে কি না, কবে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, যদি গণভোট আয়োজনের নির্দেশ আসে, তাহলে যেন তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় সে জন্য প্রস্তুতি রাখা।”

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সভায় বলেন, “সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা আগে থেকেই বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত রাখে।”

সভায় আরো জানানো হয়, দুটি ভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। ইসি ইতোমধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্র তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোর রাস্তা, বিদ্যুৎ সংযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।

ভোটকেন্দ্র, অবকাঠামো ও লজিস্টিক প্রস্তুতি
সভায় আলোচনা হয়, দেশের ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেসব স্থানে ভবন সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, স্থানীয় সরকার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

ইসির নির্দেশে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা যেন ভোটের আগে মেরামত ও প্রবেশযোগ্য হয়। দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় হেলিপ্যাড সংস্কারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে জরুরি পরিবহন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলে সমস্যা না হয়।

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা সচল রাখা, ভোটের দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লজিস্টিক সহায়তা ও যানবাহন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মেডিকেল টিম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, নির্বাচনের দিন প্রতিটি উপজেলায় একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হবে। প্রতিটি টিমে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকবে। দুর্গম এলাকায় ইউনিয়নভিত্তিক সহায়ক টিমও থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও র‌্যাবকে যৌথভাবে প্রস্তুত রাখা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, যিনি আচরণবিধি প্রতিপালন তদারকি করবেন।

প্রযুক্তি ও নজরদারি ব্যবস্থা
ইসি জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রেরণে এবার সর্বাধুনিক ডিজিটাল ভোট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিভিএমএস) ব্যবহার করা হবে। এতে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ফলাফল জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো সম্ভব হবে।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা চাই ফলাফল যেন দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ঘোষণা করা যায়। সেই জন্যই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।”

তিনি আরো জানান, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তি রোধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।

গণভোটের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৪২(১)-এর উপধারায় বলা আছে যদি সংবিধান সংশোধন বা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত জানতে হয়, তবে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।

সরকার ও রাজনৈতিক মহলে সম্প্রতি সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদে সংস্কার এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই সূত্রেই গণভোটের বিষয়টি সামনে এসেছে।

তবে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি সংবেদনশীল। কিছু দল মনে করছে, একই সঙ্গে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে প্রশাসনিক চাপ বেড়ে যাবে; আবার কেউ কেউ বলছে, এতে ব্যয় কমবে ও জনসম্পৃক্ততা বাড়বে।

একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, “ইসি প্রস্তুতি নিচ্ছে এমনভাবে, যেন সরকার যেদিন গণভোটের সিদ্ধান্ত দেবে, সেদিনই কাজ শুরু করা যায়।”

অর্থনৈতিক প্রস্তুতি ও বাজেট বরাদ্দ
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন একা আয়োজনের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রায় ৮,২০০ কোটি টাকা। কিন্তু গণভোট যুক্ত হলে ব্যয় আরো ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

অর্থ বিভাগের সচিব বৈঠকে জানান, বাজেট সংস্থান বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় খরচ না করে শুধু অপরিহার্য খাতে অর্থ ব্যয় করতে বলা হয়েছে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা
ইসি সচিব বলেন, “আমরা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করছি। শিক্ষক, সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীরা এতে থাকবেন।”

ইসি চায়, ভোটগ্রহণে যেন নিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিরপেক্ষ শিক্ষকদের তালিকা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রচার কৌশল
ভোটার সচেতনতা বাড়াতে ইসি সংসদ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) এয়ারটাইম ব্যবহার করবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোটাধিকার ও আচরণবিধি বিষয়ে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচার করা হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও ইসি যৌথভাবে এই প্রচার অভিযান পরিচালনা করবে।

বিদেশি পর্যবেক্ষক ও প্রবাসী ভোটার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসা ও অনুমতি প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। একই সঙ্গে ইসি প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য ডিজিটাল পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম চালু করছে। আগামী ১৬ নভেম্বর এর ট্রায়াল অ্যাপ উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সচিব আখতার আহমেদ।

সরকারি সফরে সচিবদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিল ইসি
বৈঠকে সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা সরকারি সফরে দেশের যেখানেই যান না কেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন। এটি আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সরকারের পূর্ণ সহায়তা চায়। কারণ নির্বাচন কমিশন একা এই বিশাল আয়োজন করতে পারে না, সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জরুরি।”

সাবেক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৪ আসনের ভোটার তৌহিদুর রহমান বলেন, “সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের এই বৈঠক শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ইঙ্গিত দেয় যে সরকার গণভোটের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং ইসি চাইছে আগেভাগে প্রস্তুত থাকতে যাতে কোনো অঘটন বা বিলম্ব না ঘটে।”

তিনি বলেন, “এখন অপেক্ষা সরকারের সিদ্ধান্তের। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট কি একসঙ্গে হবে, নাকি আলাদা দিনে। যেভাবেই হোক, নির্বাচন কমিশনের এই আগাম প্রস্তুতি বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে আরো সংগঠিত ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে।”

ঢাকা/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির