গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ২১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
Published: 9th, July 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ২১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা তোপখানা রোডের সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং আহতদের উপযুক্ত অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের জন্য দাবি জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মসূচিতে রয়েছে ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ ও দলের দুই শহীদ বদিউজ্জামাল ও আল রংপুরে তিন শহীদের কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সারাদেশে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও সমাবেশ; ১৮ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাংখ্যা বাস্তবায়নে শ্রমিক গণসমাবেশ; ২৫ জুলাই নারায়নগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ গণসমাবেশ; ২ আগস্ট সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ অন্যান্য কর্মসূচি। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দলের পোস্টার ও ‘ডাক দিয়ে যাই’ শীর্ষক কেন্দ্র ও জেলায় জেলায় এসব কর্মসূচি পালিত হবে।
নির্বাচন নিয়ে জনমনে আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নির্বাচনের সম্ভাব্য তফসিল নিয়ে কোনো কথা বলতে পারেননি। তিনিও জানেন না ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন এই সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কথা বলবেন।
এবারের জন্য কেবল সংসদের উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানান সাইফুল হক। একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদী জমানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই জুলাই মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ সই করতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় পরিষদ সদস্য আকবর খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।