Risingbd:
2025-09-18@06:07:38 GMT

১৫ বছর বেতন তার ১৫০০ টাকা!

Published: 9th, July 2025 GMT

১৫ বছর বেতন তার ১৫০০ টাকা!

‘‘১৫ বছর আগে চাকরি শুরু করেছি। মাসিক বেতন ছিল ১৫০০ টাকা। এখনও সেই ১৫০০ টাকাই আছে। এই টাকায় সংসার চলে না। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে। টাকার অভাবে অসুস্থ ছেলের চিকিৎসা করাতে পারি না। নাতিপুতিরা স্কুলে পড়ে, তাদের অনেক কষ্ট, খাতা-কলম কিনে দিতে পারি না।’’

কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন সুফিয়া খাতুন। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি পাঠাগার ও অডিটোরিয়ামের ঝাড়ুদার পদে কাজ করছেন। 

সুফিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের মৃত সুলতান আলী শেখের স্ত্রী। ৭ সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। 

সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘‘২৫ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেটা অসুস্থ। কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। যা ছিল সব বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়েছি। বর্তমানে অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতেও পারি না। ডাক্তার বলেছে ১০ লাখ টাকা লাগবে।’’

সরকারের কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে সুফিয়া খাতুন আরো বলেন, ‘‘১৫ বছর বেতন বাড়ছে না। বেতনটাও যদি বাড়ত ছেলে-নাতিপুতিদের নিয়ে খেয়েপরে বাঁচতে পারতাম। শুনি অনেকে ভাতা পায়, আমি তাও পাই না।’’

‘‘কত স্যারের কাছে কাগজপত্র নিয়ে গেলাম বেতনটা বাড়ানোর জন্য, কিন্তু স্যাররা তাকিয়েও দেখলো না, কিছু বলেও না। কত লোককে বললাম, আমার ছেলের কার্ড করে দাও। কেউ তাকিয়েও দেখে না,’’ বলেন এই অসহায় বৃদ্ধা।  

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধা সুফিয়া খাতুন খুব কষ্ট করে জীবন কাটাচ্ছেন। অর্থের অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। 

প্রতিবেশী আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘‘সুফিয়া খাতুনের ছেলে সোহেল অনেক অসুস্থ। কাজ করতে পারে না। টাকার অভাবে তাদের অর্ধাহারে দিন কাটে। সরকার বা বিত্তবানরা সহযোগিতা করলে তারা উপকৃত হবে। সাহায্য ছাড়া চিকিৎসা করানোর সমর্থা তাদের নেই।’’

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি পাঠাগার ও অডিটোরিয়ামের কেয়ার টেকার সৈয়দা আশেকুন নাহার বলেন, ‘‘সুফিয়া খাতুন ১৫ বছর ধরে ঝাড়ুদার পদে চাকরি করছেন। বেতন পান ১৫০০ টাকা। এটা কীভাবে হয়? এই টাকায় আজকাল দুদিন চলাও সম্ভব নয়!’’
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, ‘‘সুফিয়া খাতুনের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব। আগামী মাস থেকে তার বেতন বৃদ্ধি করা হবে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৫০০ ট ক ১৫ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে তিনি মানহানির একটি মামলা করতে যাচ্ছেন।

গতকাল সোমবার রাতের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পত্রিকাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে লিখেছেন, ‘কয়েক দশক ধরে আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট (আমি!), আমার পরিবার, ব্যবসা, আমেরিকা ফার্স্ট মুভমেন্ট, মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (এমএজিএ) এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের জাতি সম্পর্কে মিথ্যাচার করে আসছে পত্রিকাটি।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিউইয়র্ক টাইমসের সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, পত্রিকাটি কট্টর বামপন্থী ডেমোক্রেটিক দলের একটি ‘ভার্চুয়াল মুখপত্র’-এ পরিণত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মামলাটি ফ্লোরিডায় করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের নথি থেকে ট্রাম্পের এই মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে এবিসি নিউজ এবং উপস্থাপক জর্জ স্টেফানোপোলোসের বিরুদ্ধে করা মামলার উদাহরণ টানেন। এ ছাড়া কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ‘৬০ মিনিটস’ (সিক্সটি মিনিটস) অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারের জন্য প্যারামাউন্টের বিরুদ্ধে করা মামলার কথাও উল্লেখ করেন।

ওই দুটি মামলা যথাক্রমে দেড় কোটি ডলার ও ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নিষ্পত্তি হয়েছিল।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে নিউইয়র্ক টাইমসের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কারণ, অনুরোধটি তাদের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার বাইরে করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অটিজম শিশু ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিক্ষণ, ফি মাত্র ১৫০০ টাকা
  • নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করছেন ট্রাম্প