গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈর বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন মারধরে আহত মনিরুজ্জামান উলুর জামাতা শামীম শেখ। এ সংবাদ সম্মেলনে আহত মনিরুজ্জামান উলু উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামীম শেখ বলেন, ‘‘আমার শ্বশুর মনিরুজ্জামান উলু দীর্ঘদিন ধরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর এলাকায় খামার ও মাছের ঘেরের ব্যবসা করে আসছেন। গত ১৮ জুন আমার শ্বশুর মনিরুজ্জামান ও শ্যালক জুয়েল মোটরসাইকেল করে ঘের থেকে টুঙ্গিপাড়ার দিকে আসছিলেন। তারা গোপালপুর এলাকার চাপড়াইল ব্রিজের উপর পৌঁছালে ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রান্ত তালুকদার ও তার কয়েকজন সহযোগী পথরোধ করেন। তখন আমার শ্বশুর পথ আটকানোর কারণ জানতে চাইলে প্রান্ত বলেন- ‘আপনারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করেন না। আমরা বিএনপির লোক, তাই এখানে ব্যবসা করতে হলে আমাদের টাকা দিতে হবে’।’’

আরো পড়ুন:

ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

পাবনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

শামীম আরো বলেন, ‘‘তখন আমার শ্বশুর ও শ্যালক তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে বাগবিতণ্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতা প্রান্ত তাদের নেতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈকে ফোন দেন। কিছু সময় পর জীবেশ কয়েকজন লোক নিয়ে এসে তাদের উপর হামলা করে। তখন আমার শ্বশুর মনিরুজ্জামান উলু গুরুতর আহত হলে তাকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘পরে টুঙ্গিপাড়া থানায় গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। তখন আমরা গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করলে আদলত মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন।’’

গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এ সব কুৎসা রটাচ্ছে। মূলত এ ঘটনার জন্য আমি দায়ী না। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’’ 

ঢাকা/বাদল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গ প লগঞ জ ইউন য ন ব এনপ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শাপলা না হলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না: সারজিস আলম

শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস আলম বলেছেন, জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ, জাতীয় ফল কাঁঠাল ইতিমধ্যে মার্কা হিসেবে আছে।

শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বিধিমালার তপশিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা পাবে না। এনসিপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে যে আবেদন করেছে, সেখানে দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলাসহ তিনটি প্রতীকের নাম উল্লেখ করেছিল তারা।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাটপাতা এবং তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ। শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না। আর যদি জাতীয় প্রতীকের যেকোনো একটি অংশ রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে, তাহলে শাপলাও হতে পারবে।’

সারজিস আলম আরও লিখেছেন, ‘জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ, জাতীয় ফল কাঁঠাল অলরেডি মার্কা হিসেবে আছে। আর যদি মার্কা দেখেই ভয় পান, তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ