ঘুরছে চরকি, ঘুরছে দেশের কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রির চাকাও। ২০২১ সালের ১২ জুলাই থেকে নিয়মিত অরিজিনাল কনটেন্ট ও মানসম্মত সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে চরকি এখন দর্শক–পছন্দের শীর্ষে। বাংলা কনটেন্ট নিয়ে দেশ–বিদেশে বাংলাভাষী দর্শকদের কাছে চরকি হয়ে উঠেছে আস্থার প্ল্যাটফর্ম।
আজ ১২ জুলাই, চার বছর পূর্ণ করল ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি। এ চার বছরে নানা অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছে চরকি। বেশ কিছু অর্জনও রয়েছে তাদের। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চরকির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ চার বছরে চরকিতে কনটেন্ট দেখা হয়েছে ১০০ কোটির বেশি ঘণ্টা। চরকি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিন কোটির বেশি রেজিস্টার্ড গ্রাহক। চার বছরে দর্শকদের জন্য চরকি নিয়ে এসেছে এক শর বেশি কনটেন্ট। হিসাব করলে প্রতি মাসে দুটির বেশি কনটেন্ট মুক্তি দিয়েছে চরকি।
চরকির চতুর্থ বছরপূর্তি উপলক্ষে দর্শকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি। তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা চরকিকে বিশ্বাস করে সঙ্গে ছিলেন বলেই আমরা অনেকটা পথ আসতে পেরেছি, কিছু অর্জনও হয়েছে। আমাদের ভালোবাসার জন্যই চরকি হয়ে উঠছে বাংলা কনটেন্টের রাজধানী। ওটিটিতে বাংলা কনটেন্ট দেখার কথা এলেই অনেকে ভাবেন, সেই কনটেন্ট চরকিতে দেখবেন, সেটি সত্যি আনন্দের।’

দর্শকদের মধ্যে এই চাহিদা চরকি তৈরি করেছে নানা পন্থায়। অরিজিনাল সিরিজ, মুভি, ফ্লিক, ট্র্যাভেল, কুকিং ও কমেডি শো, বিদেশি কনটেন্ট নিয়মিতই মুক্তি দিচ্ছে চরকি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কো–প্রডিউসড সিনেমা।

‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’–এর পোস্টার থেকে। চরকি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম চ র বছর কনট ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী

প্রেমের টানে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে তার প্রেমিক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলায়। অভিযুক্তরা বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আর তার প্রেমিকের নাম দত্ত যাদব। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা। 

পুলিশ জানায়, ওই বাংলাদেশি তরুণী একসময় মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায়  যোগ দেন। এসময় কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে কয়েক মাস আগে ওই তরুণী আবার বাংলাদেশে চলে যায়। প্রেমিকের অনুরোধ রাখতে আবার ভারতে আসেন। তবে তার সঙ্গে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তার প্রেমিক দত্ত যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ আরও জানায়, তারা ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এসময় বিএসএফ তাদের আটক করে। 

অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। 

ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে অনুপ্রবেশে কোনো দালাল সহযোগিতা করেছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেটি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ