ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস কী
Published: 13th, July 2025 GMT
সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ যে মান, গুরুত্ব ও ব্যাপকতা নিয়ে হাজির হয়, তা অন্য সব পুরস্কারকে ছাপিয়ে যায়। এই পুরস্কারে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের শ্রেষ্ঠত্ব যাচাই হয়—কে শুধু সেরা নয়, বরং সর্বোচ্চ সেরা। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য এটি এমন এক সুযোগ, যেখানে তারা নিজেদের সৃজনশীল কার্যক্রম, উদ্ভাবনী কৌশল ও ভবিষ্যৎ দর্শনকে তুলে ধরতে পারে।
এই মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনের পেছনে রয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন’ বা ইনমা। ইনমা হলো বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর বৃহত্তম সংগঠন। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠনটি বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যম শিল্পে উদ্ভাবন, পাঠকসংযোগ এবং ব্যবসা উন্নয়নসহ নানামুখী বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে পরিচালিত ইনমার সদস্যসংখ্যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২২ হাজার। যেখানে ১০০টির বেশি দেশের সংবাদমাধ্যম যুক্ত রয়েছে।
ইনমা ১৯৩৭ সাল থেকে ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করে আসছে। ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস হলো সংবাদমাধ্যম খাতে উদ্ভাবন, পাঠকসংযোগ, ব্র্যান্ড উন্নয়ন, ডিজিটাল রূপান্তর ও ব্যবসায়িক কৌশলে সেরা কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি সংবাদমাধ্যমের গুণগত উন্নয়ন ও সৃজনশীল প্রচেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংস্থাগুলোর ব্র্যান্ডিং, উদ্ভাবন, পাঠকমুখী উদ্যোগ, গ্রাহক বৃদ্ধির কৌশল, বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট, ডিজিটাল পণ্য উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং বার্তাকক্ষ রূপান্তরের মতো বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়।
২০টি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার প্রদান করে ইনমা। প্রতিটি শ্রেণি সংবাদমাধ্যমের ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভাবনী দিককে প্রতিনিধিত্ব করে। পাশাপাশি প্রতিটি অঞ্চলের জন্য আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় ‘অঞ্চলে সেরা (বেস্ট ইন রিজিওন)’ পুরস্কার। যেমন দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা, ইউরোপে সেরা ইত্যাদি।
২০২৫ সালের গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৪৯টি দেশের ২৮৬টি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্র্যান্ডের মোট ৮৩৯টি প্রকল্প জমা পড়ে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যম। চলতি বছরের শুরুতে ১৯৮টি প্রকল্পকে ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক বিচারকমণ্ডলী হিসেবে কাজ করেন ২৬টি দেশের ৬০ জন শীর্ষ সংবাদমাধ্যম নির্বাহী।
এবারের আয়োজনে ২০টি শ্রেণিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, যাতে যুক্ত ছিল সংবাদ ব্র্যান্ডে উদ্ভাবন, ফিচারের কার্যকর ব্যবহার, সাবস্ক্রিপশন মডেল, প্রোডাক্ট ও বিজ্ঞাপন কৌশল, বাণিজ্যিক উদ্যোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, বার্তাকক্ষ উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলো।
ইনমার নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আর্ল জে উইলকিনসন বলেন, ‘গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস এটাই প্রমাণ করেছে যে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সাহসিকতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারা ভেঙে পাঠকদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযোগ স্থাপন করছে। এ বছরের বিজয়ীরা আমাদের দেখা অন্যতম সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণাদায়ক—আমাদের অসাধারণ সব প্রতিযোগীকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন