ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের আলোচিত অভিনেত্রী অরিজিতা মুখার্জি। প্রথম ধারাবাহিক প্রচারের পরই দর্শকের মন কেড়েছিলেন। ‘নিম ফুলের মধু’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিরিয়ালে অভিনয়ের পর নতুন রূপে দেখা দিলেন এই অভিনেত্রী।
‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানি’ সিরিয়ালে নাটোরের মেয়ে রূপে ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন অরিজিতা। অনেকটা সময় খল চরিত্রে অভিনয়ের পর প্রথমবার ইতিবাচক ভূমিকায় পর্দায় হাজির হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
অরিজিতা মুখার্জির ক্যারিয়ারের বর্তমান যে অবস্থান, তা অনেকটা কাঠখড় পোড়ানোর পর পেয়েছেন। বিশেষ করে চেহারা ও শারীরিক গড়ন নিয়ে কটু মন্তব্য সইতে হয়েছে তাকে। খল চরিত্রে অভিনয় করার কারণে দর্শকরা তাকে ‘হাতি’, ‘জলহস্তি’ বলে মন্তব্য করতেন বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
আমি স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ, গভীর শোকাহত: হানিফ সংকেত
সন্তানের মৃত্যু ইরফান সাজ্জাদকে যা শিখিয়ে গেছে
শুরুতে এসব মন্তব্য নিতে পারতেন না অরিজিতা। এ বিষয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “প্রথমে খারাপ লাগত, মুখের উপর কথা বলে দিতাম। তবে বেশিক্ষণ ঝগড়া করতে পারি না, তাই কেঁদে ফেলতাম। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিরিখে তথাকথিত কিছু মানুষ সহকর্মী হয়েও আমার পাশে দাঁড়াননি। উল্টো আমাকেই তারা বলেছেন, ‘তুমি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দিচ্ছো।”
কেবল দর্শক নয়, শরীরি গড়নের কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে ভীষণ কষ্ট হয়েছে তার। সংশ্লিষ্টরাও বলেছেন— “মোটা, দেখতে ভালো না।” এজন্য তার অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানান অরিজিতা।
করোনা সংকটের সময়ের কথা টেনে অরিজিতা বলেন, “অতিমারির পর এমনিতেই সকলের কাজের অভাব। তার উপর এই ঘটনা। গভীর অবসাদে ছিলাম। মনে আছে, টানা ১৮ দিন বিছানা ছেড়ে উঠে আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পারিনি। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম।”
তবে অবসাদ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেও বেগ পেতে হয়েছে অরিজিতাকে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তার দীর্ঘ দিন সময় লেগেছে। অরিজিতার ভাষায়—“আমি কৃতজ্ঞ, আমার সঙ্গে আমার গুরুরা, মা-বাবা ও বন্ধুরা ছিলেন। সেই সময়ে তো মনোবিদের কাছে গিয়ে কথা বলাও খরচসাপেক্ষ মনে হতো। ভাগ্যিস কিছু মানুষকে পাশে পেয়েছিলাম। ওরাই বলেছিলেন, ‘এসব অহেতুক মন্তব্য। এতে ভেঙে পড়লে তুমি হেরে যাবে। ঘুরে দাঁড়ালেই আসল যুদ্ধ জয় করতে পারবে। ক্রমশ আত্মবিশ্বাস ফিরতে শুরু করে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক অর জ ত
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল