মালদ্বীপে ডলারের দাম লাগামছাড়া: অবস্থান কর্মসূচিতে বিরোধীদল এমডিপি
Published: 23rd, July 2025 GMT
মালদ্বীপে ডলারের বিপরীতে রুফিয়ার মান চরমভাবে পতিত হওয়ায় বাজারে ডলারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। কালোবাজারে বর্তমানে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ২০.১৫ রুফিয়ায়, যেখানে সরকারি ব্যাংক রেট এখনো ১৫.৪২ রুফিয়া। ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ সংকট থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ বাধ্য হয়ে কালোবাজারের ওপর নির্ভর করছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সান এমভি জানিয়েছে, ডলার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫ রুফিয়া বেশি দামে ডলার বিক্রি করছেন, যা বাজারে নিত্যপণ্যের দামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমদানি-নির্ভর অর্থনীতির কারণে এই সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য এখন অধিক দামে কালোবাজার থেকে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আয় ও মজুরি বাড়ানো ছাড়া এই সংকট দীর্ঘমেয়াদে মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
প্রেসিডন্ট ড.
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদল এমডিপি (মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি) প্রতিবাদে নেমেছে। তারা মালদ্বীপ মানিটারি অথরিটির (এমএমএ) গভর্নর আহমেদ মুনাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পাননি।
ফলে এমডিপি সংসদ সদস্যরা গতকাল এমএমএ অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন—যতদিন না গভর্নর তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ততদিন প্রতিদিন সকাল ১১টায় সেখানে তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে মালদ্বীপের সামগ্রিক অর্থনীতি ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে পারে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি