মালদ্বীপে ডলারের বিপরীতে রুফিয়ার মান চরমভাবে পতিত হওয়ায় বাজারে ডলারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। কালোবাজারে বর্তমানে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ২০.১৫ রুফিয়ায়, যেখানে সরকারি ব্যাংক রেট এখনো ১৫.৪২ রুফিয়া। ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ সংকট থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ বাধ্য হয়ে কালোবাজারের ওপর নির্ভর করছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সান এমভি জানিয়েছে, ডলার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫ রুফিয়া বেশি দামে ডলার বিক্রি করছেন, যা বাজারে নিত্যপণ্যের দামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমদানি-নির্ভর অর্থনীতির কারণে এই সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য এখন অধিক দামে কালোবাজার থেকে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, আয় ও মজুরি বাড়ানো ছাড়া এই সংকট দীর্ঘমেয়াদে মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

প্রেসিডন্ট ড.

মোহাম্মদ মুইজ্জু গত এপ্রিলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ২০২৭ সালের মধ্যে ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। তবে বাস্তবতা হলো—ডলারের মূল্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদল এমডিপি (মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি) প্রতিবাদে নেমেছে। তারা মালদ্বীপ মানিটারি অথরিটির (এমএমএ) গভর্নর আহমেদ মুনাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পাননি।

ফলে এমডিপি সংসদ সদস্যরা গতকাল এমএমএ অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন—যতদিন না গভর্নর তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ততদিন প্রতিদিন সকাল ১১টায় সেখানে তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে মালদ্বীপের সামগ্রিক অর্থনীতি ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে পারে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ