ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৩ জুলাই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ দিনে ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে, পুঁজিবাজার কিছুদিন ধরে ইতিবাচক ধারায় আছে। এর মধ্যে শেষ ৮ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে টানা উত্থান দেখা গেছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি লেনদেন হয়েছে, যা প্রায় ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৩.

৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬.৮০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫৬.৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২১৮টি কোম্পানির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৯টির।

বুধবার ডিএসইতে মোট ৯৮৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬৫.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১২২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫০.৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.০৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯৪৭ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ২৮৫.৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২৫৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৪৮টি কোম্পানির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।

সিএসইতে ৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৬২ লাখ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসইত ড এসইত স এসই ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা ৩ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটেছে। এর আগে টানা ৮ কার্যদিবস সূচকের উত্থান হয়েছিল।

এ দিনে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.০৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৭.৬০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি

ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দুই পরিচালক কিনছেন পৌনে ১৮ লাখ শেয়ার

ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮২টি কোম্পানির, কমেছে ২৫০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪টির।

এ দিন ডিএসইতে মোট ৭১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮০৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৪.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১০২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫.৪৬ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.২৭ পয়েন্ট কমে ৯৩৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯৫.৬৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির।

সিএসইতে ২৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন
  • পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন