‘মিষ্টি’ কম নেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
Published: 23rd, July 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে কল্পনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে নিহতের ভাই অভিযোগ করেন, কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় মিষ্টিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে পরিবারের লোকজন কল্পনাকে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দেখতে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো কম হওয়ায় তার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত কল্পনা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের শহীদপুর গ্রামের মনু মিয়ার বাড়ির ওমান প্রবাসী মো.
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় ২ ভাই গ্রেপ্তার
আনোয়ারুল হত্যা: ২৩ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, “প্রায় আটদিন আগে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কল্পনা। মঙ্গলবার আমাদের বাড়ি থেকে লোকজন তাকে দেখতে যায়। এ সময় মিষ্টিসহ বিভিন্ন জিনিপত্র নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো কম হওয়ায় কল্পনার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে কথা শোনায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কল্পনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে আমাদের বাড়ির লোকজন গিয়ে তার মরদেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখে।”
তার অভিযোগ, “১৬-১৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে কল্পনা ও রোমানের বিয়ে হয়। তার স্বামী ওমান থাকে। কল্পনাকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি নানানভাবে নির্যানত করতো।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়জুল আজীম বলেন, “শুনেছি গৃহবধূ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে আছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ র ব ড় র ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
আসামি শতবর্ষী ইদ্রিস শেখের আদালতে হাজিরা ও প্রিজন ভ্যানে যাত্রা
তখন সময় দুপুর ১২টা ৩ মিনিট। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর এজলাস কক্ষ থেকে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে একজন পুলিশ সদস্য হাত ধরে সিঁড়ির কাছে নিয়ে যেতে থাকেন। সেই বৃদ্ধের ডান হাতে একখানা লাঠি। লাঠির ওপর ভর দিয়ে তিনি সিঁড়ির কাছে যেতে থাকেন।
সিঁড়ির কাছে যাওয়ার পর তিনি কোনোভাবেই সেই সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় আসতে পারছিলেন না। দুজন পুলিশ কনস্টেবল অশীতিপর এই বৃদ্ধের দুই বাহু ধরে রাখেন।
পরে ইদ্রিস শেখের দুই বাহু ধরে দ্বিতীয় তলায় আনা হয়। তখন ইদ্রিস শেখ হাঁপাচ্ছিলেন। পরে দুজন কনস্টেবল আবার ইদ্রিস শেখের দুই বহু ধরে রাখেন। এরপর খুব সাবধানে দুই তলার সিঁড়ি দিয়ে ইদ্রিস শেখ লাঠির ওপর ভর করে নিচতলায় নামেন। তৃতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামতে ইদ্রিস শেখের সময় লেগেছে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। ইদ্রিস শেখকে যখন নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে হাজতখানার সামনে আনা হয়, তখন তাঁর ছেলে বাবুল শেখ কেঁদে ফেলেন।
বাবুল শেখ তখন চিৎকার দিয়ে বলে ওঠেন, ‘আমার বাবার বয়স এখন ১২০ বছর। এই ১২০ বছর বয়সেও আমার বাবাকে জেলের ঘানি টানতে হবে।’
প্রিজন ভ্যানে ইদ্রিস শেখ। মঙ্গলবার ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে