শেরপুরে ২১ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 25th, July 2025 GMT
শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ২১ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী এবং ১১ জন শিশুকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ৩৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে হাতিপাগাড় বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন নাকুগাঁও সীমান্তের ১১১৬ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন কিলাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিজিবির টহল দল তাদেরকে আটক করে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে রাখেন।
এর আগে গত ১১ জুলাই একই উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, আটক রোহিঙ্গারা ছয়টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যান। তারা সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসায় কাজ করেন। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। তখন তারা কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেন। তাদেরকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেছেন, আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
ঢাকা/তারিকুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।