রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় সোনারগাঁয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিসমিল্লাহ এনএম যুলফিকার ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় রবিবার বাদ মাগরিব মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিলের অঅনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসমিল্লাহ এনএম যুলফিকার ফাউন্ডেশন-এর ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুক্তার হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন।

দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন—"এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উজ্জ্বল মুখগুলো চিরতরে নিভে গেছে। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দেন।"

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন: চ্যানেল আই এর স্টাফ রিপোর্টার আক্তার হাবিব, প্রতিবন্ধী ও শিশু যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সরদার এম এ মহিন, এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ শাহজালাল মিয়া, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মীজানুর রহমান, সোনারগাঁ কমিটির সভাপতি মোঃ ফজলুল হক ভূইয়া, সংগঠনের সদস্য মোবারক হোসেন, আল আমিন, সিফাত ও মারুফ, বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধীকার ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শামিম হোসেন, মোঃ আব্দুল হক মিয়া, এনসিপি জেলা সদস্য মোঃ মোস্তফা, সাংবাদিক মোক্তার হোসেন, কামরুল ইসলাম পাপ্পু সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠান শেষে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ দ র ঘটন স ন রগ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫