হবিগঞ্জে নিজ ঘরে মিলল গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ
Published: 27th, July 2025 GMT
হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে আলম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পইল গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আলম বেগম ওই গ্রামের সিতু মিয়ার স্ত্রী। এদিকে, ঘটনার পর থেকে নিহতের দেবর কদর আলী পলাতক।
স্থানীয়রা জানায়, আলম বেগমের স্বামী সিতু মিয়া স্থানীয় বাজারে সবজির ব্যবসা করেন। তার ভাই কদর আলী মুদি ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
আরো পড়ুন:
পিয়াইন নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ পর্যটকের লাশ
থানায় এএসআইকে ছুরিকাঘাত করা যুবকের লাশ মিলল পুকুরে
রবিবার বিকেলে সিতু মিয়া সবজি নিয়ে বাজারে যান। কিছু সময় পরে তার ছেলে বাবার কাছে সবজি আনতে যান। এ সময় ঘরে আলম বেগম একা অবস্থান করছিলেন।
ছেলে বাজার থেকে ফিরে মায়ের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী নিহতের দেবর কদর আলীকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল মিন্টু বলেন, ‘‘দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমি তাদের বিরোধ একাধিকবার নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। ধারণা করছি, সে জন্য হয়তো হত্যা হতে পারে।’’
হবিগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘‘পারিবারিক বিরোধের জেরে দেবর তার ভাবিকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পলাতক আছেন। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে