দ্রুত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার বিশেষ বিসিএসটি শেষ করতে চায় সরকার। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দ্রুত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মতো এই বিসিএসও সরকারের বিশেষ গুরুত্বের তালিকায় আছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসনের নব নিয়োগ শাখার এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, পরপর দুটি বিসিএস নিয়ে চিকিৎসক ও শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিকে সরকার খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য ইতিমধ্যে ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশিত হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসক নিয়োগ দ্রুতই শেষ করা হবে। একইভাবে শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৪৯তম বিসিএসের কাজ এগুচ্ছে। এখানেও খুব দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে। সে জন্য পিএসসির বিশেষ দল কাজ করছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই দুটি বিশেষ বিসিএস শেষ করে কর্মকর্তাদের পদায়ন করা সরকারের বিশেষ নজরে রয়েছে বলে জানান তিনি।

পিএসসি আগেই জানিয়েছিল, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। আর মৌখিক পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের।

এদিকে চিকিৎসক নিয়োগের বিশেষ বিসিএসের পরপরই শিক্ষায় নতুন বিসিএসের ঘোষণা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রকাশিত হয়েছে এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিও। এ বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৮৩ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনে ৪৯তম বিসিএসের পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে ২২ জুলাই (২২-০৭-২০২৫) থেকে। আবেদনের সুযোগ এক মাস। আবেদন করা যাবে ২২ আগস্ট (২২-০৮-২০২৫) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনএমিরেটস নেবে ১৭৩০০ কর্মী, পাইলট–কেবিন ক্রুর বেতন কত ২৬ জুলাই ২০২৫

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা ২০২৫-এর সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন এ পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস প্রকাশ করেছে। এ সিলেবাসে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় আবশ্যিক বিষয়গুলো এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবশ্যিক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি। প্রতিটি আবশ্যিক বিষয়ের পূর্ণমানও সিলেবাসে দেওয়া আছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন পদসংশ্লিষ্ট বিষয় যেমন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি, সংস্কৃত, মনোবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামি শিক্ষা, দর্শন, শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ভূগোল, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ফলিত রসায়ন, গণিত, ফলিত গণিত, ভূতত্ত্ব, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, প্রাণরসায়ন, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা, কৃষি, সমুদ্রবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, পরিসংখ্যানসহ মোট ৩৬টি পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিস্তারিত কাঠামো ও মানবণ্টন এই সিলেবাসে পাওয়া যাবে। পরীক্ষার্থীরা এই সিলেবাস অনুসরণ করে তাঁদের পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন।

৪৯তম বিসিএসে অনলাইন আবেদনের নির্দেশনা

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫–এর আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ এবং পরীক্ষার ফি জমাদানের বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০২৫ সালে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

আরও পড়ুন৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ, শুরু ৬ আগস্ট১৩ ঘণ্টা আগে

আবেদনের মূল প্রক্রিয়া—

* আবেদনের শুরুতে প্রার্থীকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার তথ্য প্রদান করে যাচাই সম্পন্ন করতে হবে। এ তথ্য শিক্ষা বোর্ডের ডেটাবেজের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে। আবেদন ফরমের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে—ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ক্যাডার চয়েস।

* প্রার্থীকে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা রঙিন ছবি (৩০০x৩০০ পিক্সেল, সর্বোচ্চ ১০০ কেবি) এবং স্বাক্ষর (৩০০x৮০ পিক্সেল, সর্বোচ্চ ৬০ কেবি) আপলোড করতে হবে। সাদা–কালো ছবি গ্রহণযোগ্য নয় এবং ছবিটি অনধিক তিন মাস পূর্বের রঙিন হতে হবে।

* সফলভাবে আবেদনপত্র পূরণ ও আপলোড সম্পন্ন হলে একটি ইউজার আইডিসহ (User ID) আবেদনপত্র (Applicants Copy) পাওয়া যাবে, যা প্রিন্ট বা ডাউনলোড করে প্রার্থীর জন্য সংরক্ষণ করা আবশ্যক।

আবেদন ফি এবং জমাদানের পদ্ধতি—

সাধারণ প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ফি ২০০ (দুই শত) টাকা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা। আবেদন ফি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে দুটি এসএমএস পাঠিয়ে জমা দিতে হবে। ফি জমাদানের বিস্তারিত নির্দেশনা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—

ফি জমাদানের পর আবেদনপত্রে কোনো ধরনের সংশোধন করার সুযোগ থাকবে না, তাই সব তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াকালে কারিগরি সহায়তার জন্য ০১৫৫৫৫৫৫১৪৯, ০১৫৫৫৫৫৫১৫০, ০১৫৫৫৫৫৫১৫১, ০১৫৫৫৫৫৫১৫২ নম্বরে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত (অফিস চলাকালীন) যোগাযোগ করা যাবে। ই-মেইল সহায়তা ([email protected]) থেকে মিলবে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বড় নিয়োগ, নেবে ১৮২ জন১৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ষ ব স এস ব স এস র পর ক ষ র ম বর র প রক শ র জন য শ ষ কর আবশ য প এসস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত

৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।

বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।

এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।

রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫

টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।

তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার‍= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার্জার পেইন্টসের অর্ধবার্ষিকে মুনাফা কমেছে ৩.৫৩ শতাংশ
  • অনুমতি ছাড়াই গাসিক কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিদেশ যাত্রা
  • কোহিনুর কেমিক্যালের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ৩৩.৫৫ শতাংশ
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত
  • নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, পদসংখ্যা ২৭
  • পিআইবিতে ৩য় থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৩৮
  • গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন জুলাইযোদ্ধার
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে নিয়োগ, পদ ৩২টি
  • ৪৭তম বিসিএসে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতলেখক নিয়োগ