প্রশ্ন: আমি পুরুষ, বয়স ২৮ বছর। প্রায় দুই বছর ধরে আমার এক নাক বন্ধ, এক নাক দিয়ে। টেনে শ্বাস নিতে হয়, মাঝেমধ্যে বুকে চাপ লাগে। ঘুমের সময় মুখ হাঁ করেও শ্বাস নিই। গত বছরের মে মাসে নাকের হিট সার্জারি করাই। তিন মাস ভালো ছিলাম। তারপর থেকে দুই নাক দিয়ে আগের মতো শ্বাস নিতে পারি না। চিকিৎসকের কথামতো নানা ওষুধ খেয়েছি (বিস্তারিত পাঠালাম), চলতি মাসে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকাও নিয়েছি। আমার আর কী করার আছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

আরও পড়ুনসর্দিতে নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া চিকিৎসা কী?০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

পরামর্শ: আপনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে আপনার এক নাক বন্ধ এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। উল্লিখিত সমস্যা কয়েকটি ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। নাকের হাড় বাঁকা, মাংস বৃদ্ধি বা পলিপ থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাস নিতে কষ্ট, বুকে চাপ ও ব্যথা অনুভবের কথাও বলেছেন। এ ক্ষেত্রে এক্স–রে, সিটি স্ক্যানসহ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। আপনি যে সার্জারির কথা বুঝিয়েছেন, তাঁর নাম হিট সার্জারি না, সেটি হলো হাইপারট্রফি অব ইনফেরিয়র টারবিনেট সার্জারি। এই পদ্ধতিতে আপনার নাকের মাংস কমানো হয়েছে। এটি স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে আবার মাংস বৃদ্ধি হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

আপনি যে টিকার কথা উল্লেখ করেছেন, তা অ্যালার্জির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আপনার অ্যালার্জিজনিত কী কী সমস্যা রয়েছে, তা অ্যালার্জি প্যানেল টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। আপনি কিছু ওষুধের নাম লিখেছেন। এগুলো কত দিন ধরে খাচ্ছেন উল্লেখ করেননি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মন্টিলুকাস বেশি দিন ধরে খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নাকের মাংস পেছনের দিকে ফুলে যায়। ডক্সোফাইলিন কেন খাচ্ছেন? কাশির সমস্যা রয়েছে কি না, উল্লেখ করলে বুঝতে সুবিধা হতো। বিলাস্টিন এবং ফেক্সোফিনাডাইন দীর্ঘদিন খেলে নাক ড্রাই হয়ে যায়। আপনি কি এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাচ্ছেন? নাকি নিজের ইচ্ছেমতো? নিজের খেয়ালখুশিতে ওষুধ খাবেন না। যেহেতু আপনার সমস্যাটি অনেক পুরোনো, তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত একজন নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুচিকিৎসা গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুনঘন ঘন ঠান্ডা লাগে যাঁদের২৫ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উল ল খ আপন র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ