বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান
Published: 31st, July 2025 GMT
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার পদে মো. সাইফুদ্দিন সিএফএ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে তিনি অফিসে যোগদান করেন।
এ দিন বিএসইসি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে তাকে কমিশনার হিসেবে চার বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ দেয়।
আরো পড়ুন:
সালভো কেমিক্যাল কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন
এ দিন বিএসইসির কমিশন সভা কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান, অন্যান্য কমিশনার এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত কমিশনার মো.
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি পুঁজিবাজার ও বাজার কাঠামোতে গঠনমূলক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সকল অংশীজনকে নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।পাশাপাশি, বিএসইসির কার্যক্রমকে বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য অংশীজনের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে পরিচিতিপর্ব শেষে উপস্থিত সবাই নবাগত কমিশনারকে স্বাগত জানান।
সাইফুদ্দিন দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্রোকার হিসেবে পরিচিত। ২০০১ সালে তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০৯ সাল থেকে আইডিএলসি সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) এবং সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সদস্য।
ঢাকা/এনটি/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল