হাটহাজারীতে সালিসে মারধরে কিশোরীর বাবা নিহতের ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
Published: 3rd, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কিশোরীকে অপহরণের ঘটনার পর বসা সালিস বৈঠকে মারধরে ওই কিশোরীর বাবা নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে চারজনকে আসামি করে এ মামলা হয়। আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে একটি এলাকায় এই সালিস বৈঠক হয়। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকাটির থানা হাটহাজারী।
আজ রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলো প্রতিবেদকের। তাঁরা জানান, গত ২৭ জুলাই ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় জিডি হয়। পরে পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকা থেকে নিয়ে আসে। অপহরণের অভিযোগ ওঠা যুবকের বাড়িও সুবর্ণচর। তবে তিনি কিশোরীর বাড়ির পাশে একটি বাসায় থাকতেন। পেশায় নির্মাণশ্রমিকের সহকারী ওই যুবক।
সেদিনের (শুক্রবার) সালিসে থাকা অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, সালিসে যুবকের প্রতিনিধিরা দুজনের বিয়ে হয়েছে দাবি করলেও কিশোরীর বয়স কম থাকায় আইনগতভাবে বিয়ে দেওয়া যায় না বলে উভয় পক্ষ একমত হয়। এর মধ্যে সালিসে বহিরাগত লোকজন এসেছে উল্লেখ করে এক পক্ষ অপর পক্ষের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন লোকজনের ভিড়ের মধ্যে পড়েন কিশোরীর বাবা। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে ও কিশোরীর বড় ভাই আজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবাকে সালিসে মারধর করা হয়েছে। সেখানে মারা গেছেন। তাঁরা মামলা করেছেন। এই খুনের ঘটনায় তাঁরা সুষ্ঠু বিচার চান।
তবে ওই যুবকের খালার দাবি, তাঁর ভাগনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে ওই কিশোরীর। স্বেচ্ছায় গিয়ে বিয়ে করেছে। সালিস বৈঠকে কিশোরীর বাবাকে কেউ মারধর করেনি। হার্ট অ্যাটাকে ( হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ) কিশোরীর বাবার মৃত্যু হয়েছে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ঘটন ম রধর ল কজন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ, জনতার চাপে ‘মাফ চেয়ে’ এলাকা ছাড়ালেন ‘এমপি প্রার্থী’
ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রায়হান জামিল নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু বিতরণের জন্য যে পরিমাণ মাছ তিনি এনেছিলেন, তার থেকে লোকসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হয়। সবাইকে মাছ দিতে না পেরে জনতার বিক্ষোভের মুখে কোনোরকমে এলাকা ছাড়েন তিনি।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। তিনি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ৪ আসনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ‘জনগণের মন জয় করার জন্য’ তিনি ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়হান জামিল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ পরিচয় দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সদরপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটান। তাতে তিনি লেখেন, ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেবেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ইলিশ দেওয়ার কথা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকাল থেকে শত শত মানুষ জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। বিতরণ শুরুর একপর্যায় মাছ ফুরিয়ে যায়। তখন মাছ নিতে না পারা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে রায়হান জামিল পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
‘স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী’ পরিচয়ে ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ করতে যাওয়া রায়হান জামিল