রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪ মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ
Published: 4th, August 2025 GMT
জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের সময় রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাতপরিচয় ১১৪টি মরদেহ দাফন করা হয়েছিল রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। এই শহীদদের পরিচয় জানার জন্য তাঁদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। এ জন্য লাশ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এসিএমএম) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১১৪ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে। তাঁদের পরিচয় জানা এবং আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, বেওয়ারিশ লাশগুলো জুলাই-আগস্টে দাফন করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, যারা নাম-পরিচয় না জানা মরদেহ দাফন করে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, রায়েরবাজার কবরস্থানে তারা জুলাইয়ে ৮০ জনের ও আগস্টে ৩৪ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই আগস ট র য় রব জ র স এমএম
এছাড়াও পড়ুন:
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রাজ্জাক
রাজধানীর গুলশান এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় করা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার তিনি এই জবানবন্দি দেন। একই ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর তিন আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এই তিনজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন, মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আবদুর রাজ্জাককে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান।
পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, আবদুর রাজ্জাকসহ অন্যরা সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আবদুর রাজ্জাকসহ অন্যরা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশান, বারিধারাসহ অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট (নিশানা) করে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুলাই সকাল ১০টার সময় সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় আবদুর রাজ্জাক ও কাজী গৌরব অপু উপস্থিত হন। বাসায় তখন শাম্মী আহমেদ উপস্থিত ছিলেন না। বাসায় ছিলেন তাঁর স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। আবু জাফরকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রাজ্জাক ও গৌরব। টাকা চাওয়ার পাশাপাশি তাঁরা স্বর্ণালংকারও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনগুলশানে চাঁদা নিতে গিয়ে ধরা পড়া রাজ্জাকের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার: ডিএমপি৩০ জুলাই ২০২৫গুলশান থানার পরিদর্শক মোখলেছুর আদালতকে জানান, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাজ্জাক ও গৌরব তাঁদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করার হুমকি দেন। তখন মামলার বাদী নিজের কাছে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ও তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে তাঁদের (রাজ্জাক ও গৌরব) হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দেন। পরে আবদুর রাজ্জাকের বাসায় অভিযান চালিয়ে চাঁদার ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঅনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ উঠছে ভবন, এলাকায় নানা আলোচনা২৭ জুলাই ২০২৫