রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে ২০২৪-২৫ সেশনের একদল নবীন শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ দাবি জানান তারা।

আরো পড়ুন:

জাকসু নির্বাচন: ভিপি পদে ২০ ও জিএস পদে ১৭ জন প্রার্থী

জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

এ সময় ‘৭২ ছাড়া রাকসু, চলবে না চলবে না’, ‘মানি না মানবো না’, ‘ফ্রেশারদের ভোটাধিকার, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘রাকসু ফি দিয়েছি, ভোটাধিকার চেয়েছি’, ‘রাকসু আমার অধিকার, তুমি কে আটকাবার?’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

এদিকে, নবীন শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে রাবি শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীদের আশেপাশে ঘুরতে দেখা যায়।

এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মো.

বেনজীর হোসেন বলেন, “ডাকসুতে নবীন শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারছে; তাদের তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু রাকসুতে ৭২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমাদের দাবি, রাকসুর ভোটার তালিকায় ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ভোটাধিকার প্রদানের সুযোগ দিতে হবে।”

আরেক শিক্ষার্থী  মো. লতিফুর রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যেখানে ডাকসুতে ভোট প্রদান করতে পারছে, কিন্তু আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি তারা রাকসুতে ভোট প্রদান করতে পারছি না। এমনকি ঢাবিতে ২০২৪-২৫ সেশনের একজন শিক্ষার্থী প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটি একটি বৈষম্য। রাকসুতে ভোট প্রদানের সুযোগ না দেওয়া হলে, আমরা আরো বড় আন্দোলন গড়ে তুলবো।”

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থান দেখে আমরা শিখেছি কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। এটি আমাদের শেষ কর্মসূচি নয়। রাকসু নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রদানের সুযোগ না দেওয়া হলে, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে সকাল ১১টায় আমরা মানববন্ধনের ডাক দিচ্ছি। অধিকার আদায়ে আমরা বদ্ধ পরিকর।”

তবে এ নিয়ে রাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে যাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তাদের রাকসু নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ নেই। যেহেতু ২৭ জুলাইয়ের সময় পর্যন্ত ৭২তম ব্যাচ (২০২৪-২৫ সেশন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি। সেজন্যই মূলত এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সামনের রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারছে না। আমরাতো নিয়মের বাইরে যেতে পারি না।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল নব ন শ ক ষ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি: মাইগ্রেশন, বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ
  • হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি, অপেক্ষমাণ থেকে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে