উপজেলা বিএনপি নেতার নির্দেশে ঢাবি ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 26th, August 2025 GMT
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ শোভনকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার নির্দেশে পীরগাছা থানার এসআই শফিক ঢাবি ছাত্রদলের শেখ শোভন ও ৩ নম্বর ইটাকুমারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বেরোবির প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট আমতলী পীরগাছার আমতলী বাজার এলাকায় একটি শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটার বিরুদ্ধে শামীম হোসেন প্রতিবাদমূলক ভিডিও করেন। সেখানে মাহবুবুর রহমান মাহবুব অন্নদানগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়কের নেতৃত্বে শামীমের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
আহত অবস্থায় তিনি মামলা বা জিডি করতে গেলে পীরগাছা থানা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে, হামলাকারীদের বাঁচাতে উল্টো শামীমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।
এরই জেরে সোমবার কালিগঞ্জ স্কুল মাঠ থেকে শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ঢাবি শিক্ষার্থী শেখ শোভন একজন আইনজীবী হিসেবে ওয়ারেন্ট ও মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসআই শফিক তার সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেন। পরে তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা , নুরুজ্জামান মেম্বার ও মাহবুবুর রহমান সরাসরি জড়িত। অভিযুক্ত রাঙ্গা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলনের ভাতিজা। তারা পীরগাছা উপজেলায় তাদের পরিবার মাফিয়া রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি- প্রতি আমলেই তারা থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। রাঙ্গার প্রত্যক্ষ মদদে পীরগাছা থানায় চলছে মামলা বাণিজ্য।”
স্থানীয় বাসিন্দা কালীগঞ্জ স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “পীরগাছায় আওয়ামী লীগের সময় পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতো মিলন এখন নিয়ন্ত্রণ করে রাঙ্গা। তাদের সবাই ভয় পায়, তারা মাফিয়া সন্ত্রাসী।”
স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতা অভিযোগ করে বলেন, “যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা দুজনই বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত। আর যাদের মাধ্যমে এই গ্রেপ্তার করানো হয়েছে, তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। আমাদের এলাকায় পারিবারিক রাজনীতি চলে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে পীরগাছা থানার এসআই শফিকুর রহমান বলেন, “যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় শোভন বাধা দিয়েছিল। তখন তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, “শোভনের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তবে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এজন্য তাকে একটু জোরজবরদস্তি করা হয়।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ছ ত রদল গ র প ত র কর ছ ত রদল র প রগ ছ উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে জাল টাকা বহনের দায়ে নুপুর বেগম ও জসিম খলিফা নামে দুইজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
খুলনায় নবজাতক চুরি: নারী গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আক্কাস সিকদার রায়ের তথ্য জানিয়েছেন। দুই আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নুপুর বেগম (৩৫) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর এলাকার আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী এবং জসিম খলিফা (৩৬) ঝালকাঠির সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার ওয়াজেদ খলিফার ছেলে।
ঝালকাঠি জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজ বাড়ি রোড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সূবর্ণ চন্দ্র দের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকার ১৯৬টি জালনোট, ৫০০ টাকার ২০০টি জালনোট ও ২০০ টাকার ৫টি জালনোট জব্দ করা হয়।
এসআই সুবর্ণ চন্দ্র দে বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জসিম খলিফা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে।
ঢাকা/অলোক/বকুল