সাবা আজাদের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশান। মাঝে এ জুটির বিয়ের গুঞ্জনও চাউর হয়েছিল। এবার প্রেমিকা সাবার কাছে নিজের ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন হৃতিক রোশান।

জ্যাপকির বরাত দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুহুর সি-ফেসিং বিলাসবহুল ফ্ল্যাটটি প্রেমিকা সাবা আজাদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন হৃতিক। ভাড়া বাবদ সাবাকে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার রুপি গুনতে হবে। এক বছরের জন্য ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছেন সাবা। 

আরো পড়ুন:

রজনীকান্ত-হৃতিকের মুখোমুখি লড়াই, কে কতটা এগিয়ে?

এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে

জুহু-ভারসোভা লিংক রোডের মান্নত অ্যাপার্টমেন্টে (বর্তমান) অবস্থিত হৃতিকের ফ্ল্যাট। ২০২০ সালের অক্টোবরে হৃতিক রোশান এই ভবনে ৩টি ফ্লোর কিনেন ৯৭.

৫ কোটি রুপিতে। এ ভবনের ১৮, ১৯ ও ২০তম তলা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট। যার আয়তন ১২ হাজার বর্গফুট। লিভ অ্যান্ড লাইসেন্স চুক্তি অনুসারে, গত ৪ আগস্ট, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সাবা আজাদ ১ লাখ ২৫ হাজার রুপি জমা দিয়েছেন বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে হৃতিকের প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। এরপর থেকে সম্পর্ক নিয়ে তাদের আর কোনো লুকোচুরি করতে দেখা যায়নি। গত বছর গুঞ্জন চাউর হয়, ভেঙে গেছে এ জুটির প্রেম। তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দেন এই যুগল। 

২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে দুবাইয়ে উড়ে যান সাবা-হৃতিক। সংযুক্ত আরব আমিরাতে দারুণ সময় উপভোগ করেন তারা। তখন জানা যায়, চলতি বছরে বিয়ে করবেন। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি এই প্রেমিক যুগল।

প্রায় এক দশকের বেশি সময় আগে সুজান খানের সঙ্গে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন হৃতিক। এরপর অনেকের সঙ্গেই বলিউডের ‘গ্রিক গড’খ্যাত এই নায়কের প্রেমের গুঞ্জন ছড়ায়। সর্বশেষ সাবার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন হৃতিক। সাবা এখন তার পরিবারের সদস্যের মতো।

সাবা আজাদ পেশায় একজন মডেল, গায়িকা ও অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে ‘দিল কাবাডি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এরপর ২০১১ সালে ‘মুঝসে ফ্রেন্ডশিপ করোগে’ এবং ২০২১ সালে ‘ফিলস লাইক ইশক’ সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। বেশ কিছু শর্ট ফিল্মেও অভিনয় করেছেন। এছাড়া থিয়েটারে পরিচালনার কাজও করেছেন। গানের জগতেও ভালো পরিচিতি রয়েছে সাবার।

সাবা এর আগে অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের ছেলে ইমাদ শাহের সঙ্গে লিভ-টুগেদার সম্পর্কে ছিলেন। কয়েক বছর আগে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ত ক র শন চলচ চ ত র র গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার