আটক জালালকে নিয়ে পোস্ট করে হামলার শিকার ডাকসুর আরেক ভিপি প্রার্থী
Published: 27th, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে রুমমেটকে আহত করার অভিযোগে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
সিন্ডিকেটে জকসু সংবিধি গৃহীত
মহাষষ্ঠীতে রাকসু নির্বাচনের তারিখ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ভুক্তভোগী ওয়াহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ও মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এর আগে, একই রাতে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে জালাল আহমদ (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ) কথা কাটাকাটির জেরে রুমমেট রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল হককে ছুরিকাঘাত করেন। এতে রবিউল আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন। এরপর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ওই কক্ষের সামনে অবস্থান নিলে জালাল দরজা বন্ধ করে নিজেকে ভেতরে আটকে রাখেন।
এ সময় জালালের আত্মহত্যার আশঙ্কা করে আবদুল ওয়াহেদ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে মব না করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এই পোস্ট তিনিই দিয়েছেন- এমনটি বুঝতে পেরে এবং জালালকে রুম থেকে বের করে মারধরের সময় নিষেধ করা ও ভিডিও করে ফেসবুকে দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী তার ওপর হামলা চালান। এছাড়া, তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তা থেকে ছবি-ভিডিও মুছে ফেলেন।
ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জালাল যদি সুইসাইড করে এর দায়ভার শিক্ষার্থীরা নেবেন কিনা? তারা রুমের বাইরে অবস্থান করছেন। প্রক্টর স্যার রুমের বাইরে আছেন। শাহবাগ থানা প্রশাসনের লোকও আছেন হল গেইটে। তাকে রুম থেকে উদ্ধার করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “ঘটনার পর আবদ্ধ রুমে আমি জালালের আত্মহত্যার আশঙ্কা করছিলাম। এজন্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলি যে, এ রকম ঘটনা ঘটলে রুমের সামনে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের দায় নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা কথা দেয়, তার গায়ে হাত তোলা হবে না। কিন্তু রুম থেকে বের হওয়ার পর তাকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনেই তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় এবং রক্তাক্ত করে ফেলে।”
তিনি বলেন, “তখন আমি তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হচ্ছে না। জালাল দোষী হলেও আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হোক, কিন্তু হামলা ও মারধর সমাধান নয়। এতে একদল শিক্ষার্থী আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং জালালের ওপর হামলার ভিডিও ফেসবুক থেকে ডিলিট করতে বাধ্য করে। এ সময় তারা আমার গায়েও হাত তোলে। আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া মোবাইলটি থানা থেকে ১ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করেছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমি জালালের ওপর হামলাকারী ও আমার উপর হামলাকারীদের ঢাবি থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। ঢাবিতে মব কালচার আর ফিরে না আসার জন্য ঢাবি প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। আমরা এর আগে দেখেছি, কীভাবে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সত্যি কি ‘মণিহার’ বন্ধ হচ্ছে
বাংলাদেশের বৃহত্তম সিনেমা হল ‘মণিহার’। চার দশক আগে হলটির যাত্রা শুরু হয়। সম্প্রতি জানা গেছে, হলটি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসানে হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ।
মণিহার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ অনেক দিন ধরে হলটি ভাঙার পরিকল্পনা করছিল। তবে আমরা বলে বলে এত দিন এনেছি। কিন্তু এখন চোখে অন্ধকার ছাড়া কিছুই নেই। এ মাস পর্যন্ত চিন্তাভাবনা করছে মালিকপক্ষ, হয়তো এরপর এটি ভেঙে ফেলা হবে।’
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আগে সিঙ্গেল স্ক্রিন ছিল, সবাই বলত ভালো পরিবেশ দিলে দর্শক হলে আসবে। এরপর মাল্টিপ্লেক্স করা হয়। এখন সিনেমা যদি না থাকে, ভালো পরিবেশ দিয়ে কী করব আমরা। মাসে অন্তত একটা ভালো ছবি থাকলেও টিকে থাকা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, শুধু আমরা কেন, সব হলমালিকই ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন।’