ফুটবল যে অপ্রত্যাশিত নাটকের মঞ্চ, তার আরেক উজ্জ্বল প্রমাণ মিলল ইংলিশ লিগ কাপে। ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার চতুর্থ স্তরের একটি দলের কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২৬ শটের রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ১২-১১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল ছোট শহরের ক্লাব গ্রিমসবি টাউন এফসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই ইউনাইটেড ছিল বিপর্যস্ত। মাত্র আধঘণ্টার মাথায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় গ্রিমসবি। একসময় অফসাইডের কারণে তাদের আরেকটি গোল বাতিলও হয়। ৭৫ মিনিটে এমবুমোর গোলে লড়াইয়ে ফেরে ইউনাইটেড। ৮৯ মিনিটে হেডে সমতা ফেরান হ্যারি ম্যাগুইয়ার। ম্যাচে সমতা ফিরলেও ভাগ্য তাদের সঙ্গ দিলো না।

আরো পড়ুন:

নেপালের বিপক্ষে আবারও দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের মেয়েদের

নেইমারকে ছাড়া ব্রাজিলের স্কোয়াড, আনচেলত্তির চমক পাকেতা

টাইব্রেকার পরিণত হয় ম্যারাথনে। প্রথম পাঁচ শট শেষে উভয় দল ৪-৪। এরপর সাডেন ডেথ চলে ১৮ মিনিটব্যাপী। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ব্রায়ান এমবুমোর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসতেই শুরু হয় গ্রিমসবি শিবিরে বাঁধনহারা উল্লাস। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার দর্শকধারণক্ষম স্টেডিয়াম তখন রূপ নেয় উৎসবের মেলায়। ১২-১১ ব্যবধানে ম্যানইউকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেয় গ্রিমসবি।

১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রিমসবি টাউন একসময় ইংলিশ ফুটবলে পরিচিত নাম ছিল। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে খেলেছিল এফএ কাপের সেমিফাইনাল, ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে পৌঁছেছিল লিগ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে। তবে বর্তমান সময়ের অবস্থান চতুর্থ স্তরেই সীমাবদ্ধ। আর সেই দলই ৭৭ বছর পর ম্যানইউর মুখোমুখি হয়ে লিখে দিল স্বপ্নীল জয়গাথা।

সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত এসেছিল গ্রিমসবির গোলকিপার ক্রিস্টি পিমের কাছ থেকে। ইউনাইটেডের আজীবন সমর্থক এই খেলোয়াড় নিজেই মানতে পারছিলেন না পরিস্থিতি, তবুও নিজের সেভের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, “এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি ইউনাইটেডের ভক্ত, তাই কিছুটা কষ্টও লাগছে। তবে এই ধরনের রাতের জন্যই তো আমরা ফুটবল খেলি। ছেলেরা আজ যা করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য।”

এই হার শুধু ইউনাইটেডের জন্যই নয়, ফুটবল ইতিহাসেও হয়ে রইল এক অনন্য অধ্যায়। যেখানে ছোট শহরের এক দল গড়ে ফেলল শতাব্দীর অন্যতম সাড়া জাগানো চমক। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া