তিন সপ্তাহের দীর্ঘ ক্যাম্প শেষে বাংলাদেশ দল এখন প্রস্তুত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামতে। যদিও সিরিজটির উদ্দেশ্য মূলত এশিয়া কাপের আগে ম্যাচ প্র্যাকটিস। তবু প্রধান কোচ ফিল সিমন্স স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তার বর্তমান চিন্তায় শুধু ডাচদের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াই, সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ নয়।

আগস্টে ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ সরকারি অনুমোদন না মেলায় ভেস্তে যায়। ফলে দীর্ঘ বিরতির ফাঁকে ফিটনেস ও স্কিল উন্নয়নে ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। তবে খেলোয়াড়দের ইচ্ছা ছিল বড় টুর্নামেন্টের আগে একটি সিরিজ খেলে নেওয়া। সেই ভাবনা থেকেই বিসিবি যোগাযোগ করে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এবং শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয় সিরিজ। ৩০ আগস্ট সিলেটে শুরু হবে প্রথম ম্যাচ, বাকি দুটি ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন:

এশিয়া কাপে স্পনসর ছাড়াই মাঠে নামবে ভারত!

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার দল ঘোষণা, নেতৃত্বে আসালাঙ্কা

লিটন দাস আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সিরিজে নতুন কিছু কৌশল ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখা যেতে পারে। তবে সিমন্স বিষয়টিকে আরও বাস্তবভাবে দেখছেন। তার ভাষায়, “ফাইনালে পৌঁছাতে হলে আগে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। এশিয়া কাপ আসবে সিরিজের পরে। এখন আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলছি। তাই মনোযোগ এখানেই।”

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপে খেলবে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিপক্ষে। সুপার ফোরে গেলে সামনে আসতে পারে ভারত-পাকিস্তানের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জও। অনেকেই ভাবছেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সিরিজ কি আদৌ পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হতে পারবে? সিমন্স অবশ্য তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।

তার মতে, “আমার কাছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানেই আদর্শ প্রস্তুতি। কারণ, প্রতিটি ম্যাচে একই মান ধরে রাখতে হয়। আমরা কার বিপক্ষে খেলছি সেটা নয়, বরং আমরা কতটা ভালো খেলছি এবং ক্রমাগত উন্নতি করছি; এটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

শ্রীলঙ্কায় পাওয়া অভিজ্ঞতা ধরে রেখে এবার সিলেটের মাটিতে নিজেদের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করাই হবে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। সিমন্সও চান তার শিষ্যরা প্রতিটি ম্যাচকে ছোট ফাইনাল ভেবে খেলুক, যাতে বড় টুর্নামেন্টের মঞ্চে নামার আগে আত্মবিশ্বাস থাকে টগবগে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ