ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বান্দুং শহরের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার ছাত্র সংগঠন এবং কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।  

আইন প্রণেতাদের বর্ধিত সুযোগ-সুবিধাসহ সরকারি ব্যয়ের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে থেকে রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ আরো ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার বান্দুংয়ের ঘটনাটি ছিল বর্তমান বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা তার কাছাকাছি বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর প্রথম ঘটনা। এর আগে সরকারি ভবন এবং কর্মকর্তাদের বাসভবনে এবং তার আশেপাশে সংঘর্ষ হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো সোমবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী সহিংসতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে।

ছাত্র সংগঠন ইউএনআইএসবিএ নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলে বলেছে, তারা ক্যাম্পাসে ‘নৃশংসভাবে আক্রমণ’ করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রধান রবিভ টুয়ানকু আলসাইদ রয়টার্সকে বলেন, “আমরা মনে করি ক্যাম্পাসগুলো আর শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ নয় .

.. যখন সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আমাদের ক্যাম্পাসে আসেন, তখন আমাদের জন্য আর কোনো নিরাপদ অঞ্চল থাকে না।”

পাসুন্দানের ছাত্র যোগা তাদিয়ালাগা রুচিয়াত জানান, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ ছিল এবং তাদের ক্যাম্পাসে কমপক্ষে ৪০টি টিয়ারগ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, “প্রতিবাদকারীরা আহত হলে সাহায্য করার জন্য আমরা প্যারামেডিক হিসেবে এখানে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (আমাদের দিকে) টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।

অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।

ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।

কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ