আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫০২: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
Published: 3rd, September 2025 GMT
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৫৫২টি দুর্ঘটনায় ৫৬৩ জন নিহত ও ১২৬১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসের জানালা দিয়ে লাফ, সুপারভাইজারের মৃত্যু
এতে জানানো হয়, এই মাসে শুধু সড়কপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত ও ১২৩২ জন আহত হন। রেলপথে ৩৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩৪ জন এবং নৌপথে ২১টি ঘটনায় ২৭ জন নিহত, ২২ জন আহত ও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.
নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬২ জন চালক, ৯৫ জন নারী, ৪২ জন শিশু, ৫১ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন শিক্ষক, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১ জন আইনজীবী ও ৩ জন সাংবাদিক। দুর্ঘটনায় জড়িত ৭৮৯টি যানবাহনের মধ্যে ২৬.১০ শতাংম মোটরসাইকেল, ২৪.৭১ শতাংশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ১৫.০৮ শতাংশ বাস ও ১৩.৬৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত যান।
দুর্ঘটনার ধরনে দেখা যায়, ৪৪.০৬ শতাংশ গাড়িচাপা, ৩০.৩৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯.১৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ১.২০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ এবং ০.৬০ শতাংশ ওড়না পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় মহাসড়কে ৪৫.০৭ শতাংশ, আঞ্চলিক মহাসড়কে ২৬.৫৫ শতাংশ, ফিডার রোডে ২০.৩২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, দুর্ঘটনার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—বর্ষায় সড়কের ক্ষতি, রোড সাইন ও রোড ডিভাইডারের অভাব, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যান, বেপরোয়া গতি, উল্টো পথে চলাচল, এবং যানবাহনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক মেরামত, মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ ও কর মওকুফ ডিজিটাল ফিটনেস সনদ ও রোড সাইন স্থাপনসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য় জন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল