গান নিয়ে হইচই, ক্ষুব্ধ নেতা, অনির্বাণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
Published: 5th, September 2025 GMT
কখনো অভিনেতা, কখনো পরিচালক, কখনো গান গেয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওপার বাংলার অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এরই মাঝে ‘হুলিগানইজম’ নামে গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এ ব্র্যান্ডের নতুন গান ‘তুমি মস্তি করবে জানি’।
কয়েক দিন আগে কনসার্টে গানটি গাওয়ার পর তা ভাইরাল হয়। কারণ এ গানে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির তিন ঘোষকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। কেবল তাই নয়, ‘নরেন্দ্র মোদির পেনশন-টেনশন’, ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ নিয়েও স্যাটায়ার করেছেন এই গায়ক।
আরো পড়ুন:
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ
এরপর থেকে পশ্চিমবঙ্গে হইচই চলছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা-বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ক্ষমা চাওয়াও দাবি জানান। এবার সনাতন ধর্মকে অসম্মানের অভিযোগে কলকাতার লালবাজার থানায় অভিযোগ করেছে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি। অনিবার্ণ ভট্টাচার্য ছাড়াও তার ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ব্যান্ডের প্রচারের জন্য ধর্মবিশ্বাস ও অনুভূতিকে আঘাত করা হয়েছে অনির্বাণদের গানে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে অনির্বাণদের বিরুদ্ধে আদালতে ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।
অনির্বাণ তার গানে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির তিন ঘোষকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। এই তিন ঘোষ হলেন তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপির তিন নেতা কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ ও দিলীপ ঘোষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় অনির্বাণ গাইছেন—“এসব গান-বাজনা ছাড়, চল প্রোমোটারি করি, বড় গাড়ি চড়ি/ইলেকশানের মেজাজ বুঝে দলটা বদল করি/এই আমাদের দোষ/গানবাজনা করতে এসে এসব কথা বললে/রেগে যাবে কুণাল ঘোষ।”
এই তিন ঘোষও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তবে বিজেপির প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাকস্বাধীনতা তো সকলের আছে, তবে শালীনতার মাত্রা যেন না ছাড়ায়। রসিকতা যেন শালীনতার বাইরে না যায়, কিংবা কারো আদর্শ বা নীতিতে আঘাত না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। শুধু জনপ্রিয়তা, মনোরঞ্জনের জন্য যাকে যা ইচ্ছে বলার অধিকার কারো নেই। সে বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”
বিজেপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ হালকাভাবে মন্তব্য করেছেন। তার ভাষায়, “আমি কেন রাগ করব? বরং আমি মজা পেয়েছি। এই ধরনের গান শুনতে আমার ভালো লেগেছে। ভালো থেকো, অনির্বাণ।”
একইভাবে সিপিআই(এম)-এর শতরূপ ঘোষও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি খুশি কারণ আমি সেই গানের একটি চরিত্র ছিলাম। এটা শুনে আমার ভালো লেগেছে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন র ব ণ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনার পাড়ে ‘আড়াই ঘণ্টার হাট’, দৈনিক বেচাকেনা ২৫-২৬ লাখ টাকার টাটকা মাছ
মেঘনা নদীর তীরে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুই দফায় মোট আড়াই ঘণ্টার জন্য বসে হাটটি। এই অল্প সময়ে প্রতিদিন গড়ে বেচাকেনা হয় প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকার তাজা মাছ। জেলে, আড়তদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হইচই আর হাঁকডাকে মুখর থাকে হাটটি।
এই হাটের অবস্থান চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে। এটি ‘বাবুরবাজার হাট’ নামে পরিচিত। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এবং বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই হাট বসে। স্থানীয় লোকজনের চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকে মাছ যায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লাসহ আশপাশের আরও কয়েকটি জেলা-উপজেলায়।
গতকাল শুক্রবার সকালে বাবুরবাজার হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অনেক লোকের জটলা, হইচই ও কোলাহল। আড়তদার, পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের দর-কষাকষি ও হাঁকডাকে পরিবেশ জমজমাট। মেঘনার তীরে ভেড়ানো নৌকা থেকে জেলেরা ডালায় করে ছোট-বড় বিভিন্ন মাছ এনে রাখছেন আড়তদারদের কাছে। তাঁর কাছ থেকে ওই মাছ কিনছেন পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা। ইলিশ, পাঙাশ, রুই, কাতলা, চেউয়া, বাইলা, রিঠা, পোয়া, চাপিলা, শিং ও শিলংসহ আরও নানা জাতের মাছ উঠছে সেখানে। দরদাম শেষে ক্রেতারা আড়তদারদের কাছ থেকে সেগুলো কিনছেন।
ইলিশ, পাঙাশ, রুই, কাতলা, চেউয়া, বাইলা, রিঠা, পোয়া, চাপিলা, শিং ও শিলংসহ আরও নানা জাতের মাছ ওঠে এই হাটে। গতকাল শুক্রবার সকালে তোলা