নিরাপত্তাপ্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো’ নামের এ প্রদর্শনী চলবে তিন দিন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আই-স্টেশন লিমিটেড ও দুবাইয়ের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান জিপিই এক্সপো (এফজেডই) আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে দেশ-বিদেশের নিরাপত্তা পণ্য নির্মাতা ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সফটওয়্যার ও সাইবার নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। প্রদর্শনীতে নিরাপত্তা ও সুরক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি একাধিক বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজন করা হবে। ফলে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেশি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা সরাসরি আলোচনা করতে পারবেন। ফলে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনের সঙ্গে দেশীয় নিরাপত্তাপ্রযুক্তি শিল্পের সংযোগ তৈরি হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নগরায়ণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এই উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিক করা সময়ের দাবি। ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপোতে দেশ-বিদেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।’

আই-স্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মধুসূদন সাহা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে প্রতিনিয়তই প্রযুক্তি বদলাচ্ছে। একই সঙ্গে বদলাচ্ছে নিরাপত্তা সুরক্ষা প্রযুক্তির ধরনও। তাই দেশের মানুষের সম্পদ ও তথ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির পটভূমিতে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো বৈশ্বিক প্রযুক্তিকে স্থানীয় বাস্তবতায় প্রয়োগের সুযোগ করে দেবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স রক ষ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে

টানা দুই মাস ধরে বাংলাদেশি প্রবাসীরা আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসের প্রবাসী বাংলাদেশিরা আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় পাঠিয়েছেন। গত মাসে তাঁরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত বছর একই মাসে এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। ফলে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৭ শতাংশের কিছুটা বেশি। এর আগে দেশে গত সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এসেছে।

প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। ১৮৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ২৪ কোটি ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলো এনেছে ৬৬ লাখ ডলার।

জানা যায়, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ডলার ও জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারের আয় এসেছিল।

সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল, যা এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন বা ২৭ শতাংশ বেশি।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেশের টাকার মান স্থিতিশীল রাখা ও আমদানি ব্যয় মেটানোয় সহায়তা করাসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ বেড়ে আবার ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। এতে বেড়েছে আমদানি ঋণপত্র খোলাও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ