বাংলাদেশে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ শব্দটি সাধারণত ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে ব্যবহার করা হয়। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বাঙালি বা মুসলমান। এই জনসংখ্যাগত বাস্তবতাই বেশির ভাগ সময় দেশের রাজনীতিতে নির্ধারক ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু জনগণনার কাগজে সংখ্যার উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা উন্নত জীবনে রূপ নেয় না। মানুষ আসলে কীভাবে বেঁচে আছে, তারা কোন সেবার ওপর নির্ভর করছে, কোন ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছে, এগুলো যদি আমরা দেখি, তাহলে এক ভিন্ন ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা চোখে পড়ে।

কিছু পরিসংখ্যানের ভিত্তি করে এটি লেখা হয়েছে। পরিসংখ্যানগুলো সরকারি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বস্ত তথ্যসূত্রের ওপর ভিত্তি করে আনুমানিক হিসাব। অনেক ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট ‘সরকারি’ সংখ্যা নেই, তাই বিশ্বাসযোগ্য ডেটা থেকে যুক্তিসংগতভাবে অনুমান করা হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা কিছুটা কমবেশি হতে পারে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২.

বাংলাদেশের প্রায় ১১ কোটি মানুষ (প্রায় ৬৫ শতাংশ) সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী। গ্রামীণ পরিবার, যাদের বেসরকারি চিকিৎসা নেই এবং শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবার, যারা গুরুতর অসুস্থ হলে সরকারি হাসপাতালে যান (বাংলাদেশ হেলথ ফ্যাসিলিটি সার্ভে ২০১৭; বিবিএস আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২)।

১২ কোটি মানুষ (প্রায় ৭০ শতাংশ) যাঁদের শিক্ষাজীবন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। ১ কোটি ৮৬ লাখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ২০২৩), প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ সরকারি ও আধা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থী (বিএএনবিইআইএস ২০২২) এবং প্রায় ৩০ লাখ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী (ইউজিসি বার্ষিক প্রতিবেদন)। পরিবারের গড় আকার ধরে এই শিক্ষানির্ভর জনগোষ্ঠী প্রায় সব জেলায় রয়েছেন।

গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। সারা দেশে নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ১০ লাখের কম যা মোট যানবাহনের ১ শতাংশের কম (বিআরটিএ ২০২২)। ফলে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ (প্রায় ৮৮ শতাংশ) বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও রিকশার মতো গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল (বিবিএস পরিবহন জরিপ ২০২০)। প্রতিদিন কর্মস্থল ও বিদ্যালয়ে যেতে তাঁরা ভিড়, অব্যবস্থা ও অনিরাপদ অবস্থার মুখোমুখি হন, কারণ, বিকল্প কোনো সাশ্রয়ী পরিবহন নেই।

বাসস্থানের চিত্রও উদ্বেগজনক। ৭ কোটি মানুষ (প্রায় ৪১ শতাংশ) অনিরাপদ বা দুর্যোগপ্রবণ ঘরে বাস করেন। ১ কোটি ৬০ লাখ শহুরে বস্তিবাসী (ইউএন-হ্যাভিটট ২০২০)। সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি গ্রামীণ মানুষ টিন, বাঁশ বা খড়ের ঘরে থাকে (বিবিএস জনশুমারি ২০২২)। প্রায় পাঁচ লাখ গৃহহীন (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়) এবং চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করে (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়)।

বিচারব্যবস্থায় মামলার জট এখনো ভয়াবহ। সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩ অনুযায়ী দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলা এখনো নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। নিম্ন আদালতে বিচারকের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন; প্রতি ১৮.৮ লাখ মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক। আইন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মামলার গড় সময়কাল ও জটের কারণে বিচারপ্রার্থীদের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ সময়মতো রায় পান না। বিশেষত জায়গা–জমি নিয়ে বিবাদ, শ্রমবিরোধ, পারিবারিক মামলা ও ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে বছরের পর বছর বিলম্ব চলতে থাকে।

পরিবেশগত ঝুঁকিও প্রায় সর্বজনীন। ১৬.৫ কোটি মানুষ (প্রায় ৯৭ শতাংশ) এমন বায়ু শ্বাস নেয়, যা নিরাপদ সীমার চেয়ে অনেক বেশি দূষিত (ডব্লিউএইচও ২০২৩; ডিওই ২০২২)। প্লাস্টিক দূষণ প্রভাব ফেলে ১০ কোটি মানুষের (প্রায় ৫৯ শতাংশ) জীবনে (বিশ্বব্যাংক ২০২১; পরিবেশ অধিদপ্তর)। সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ (প্রায় ৩২ শতাংশ) নিরাপদ পানীয় জল পায় না (ডব্লিউএইচও/ইউনিসেফ জেএমপি ২০২২)।

৩.

এই পরিসংখ্যানগুলো স্পষ্ট করে যে বাংলাদেশের প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো সেসব মানুষ, যারা সরকারি সেবা, গণপরিবহন, ন্যায়বিচার, বাসস্থান এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার উপর নির্ভরশীল। এরা সেই জনগোষ্ঠী যাদের বেশির ভাগ অনানুষ্ঠানিক শ্রমজীবী বা ক্ষুদ্র স্বনিয়োজিত কর্মজীবী, প্রান্তিক উৎপাদক ও জীবিকানির্ভর পরিবার, বাস্তুচ্যুত, বেকার অথবা সহায়তানির্ভর গোষ্ঠী। এরাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ। এদের জন্য নাই উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, যোগাযোগ আর নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা। স্বাধীনতার এত বছরেও তাদের জন্য এই মৌলিক সেবাগুলোর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিই এই সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য কাজ করত, তাহলে আজ তাদের এই অবস্থা হতো না। বাস্তবতা হলো, তারা ক্ষমতার এজেন্ডায় নেই। দলগুলো বরাবরই কাজ করেছে উচ্চবিত্ত ও সুবিধাভোগী মানুষেরর জন্য, যারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন, বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ে, বিদেশে চিকিৎসা করান এবং নিরাপদ আবাসনে থাকেন। এখানে একটি ক্ষুদ্র মধ্য ও উচ্চ আয়ের মানুষদের ‘উন্নয়ন’ নিশ্চিত করতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত, অনিরাপদ, এবং সম্পদ থেকে বঞ্চিত।

যেসব দল নিজেদের গণতান্ত্রিক দাবি করে, তারা এই প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি করে না। তারা সংখ্যার রাজনীতি করে, জীবনের রাজনীতি নয়। বিশ্বপুঁজিবাদের আজকের রূপ অনুসরণ করে বাংলাদেশে যে কেবল উন্নয়নহীনতা তৈরি হয়েছে তা নয়; বরং এক নতুন রকমের ‘এক্সক্লুসিভ’ আধুনিকতা নির্মাণ করছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার বাইরেই টিকে থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ।

এই পুঁজিবাদ তার অন্তর্নিহিত বৈষম্য প্রবণতার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারে না; বরং এটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে উৎপাদন সম্পর্ক থেকে আলাদা করে একটি বহিষ্কৃত জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করে, যাদের কোনো নিশ্চিত অধিকার, সম্পদ কিংবা রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই। শুধু ভোট দেওয়ার অধিকার নয়, যত দিন এই নির্ভরশীল, বঞ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি ও জাতীয় নীতিনির্ধারণের ক্ষমতা অর্জন না করবে, তত দিন এই ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মানুষের জীবন থেকে অবহেলা যাবে না; তাদের সংখ্যা কেবলই ক্ষমতার করিডরে অর্থহীনই থেকে যাবে।

কৌশিক আহমেদ লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট। সামাজিক আন্দোলন এবং বিকল্প রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ নিয়ে কাজ করছেন।

* মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক ত স খ য ন র ভরশ ল র র জন ত র জন ত ক ব যবস থ জনগ ষ ঠ পর বহন র জন য ন র পদ ন র ভর পর ব র ক ষমত র ওপর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে এগোবে এনসিপি

ফ্রিডম পার্টি যেমন স্বৈরশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে ‘আপস’ করেছিল কিংবা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যেভাবে ‘হঠকারিতার’ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সে ধরনের কোনো পথে যেতে চায় না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নিজেদের লক্ষ্যে ‘পরিষ্কার ও সৎ’ থেকে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের এজেন্ডাকে সামনে রেখে কাজ করবে দলটি।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন ধরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সভা হয়। প্রায় দেড় শ নেতার এ সভার আলোচনায় এনসিপির এই রাজনৈতিক চিন্তা উঠে এসেছে। দুই দিনে প্রায় ১৭ ঘণ্টার আলোচনায় জুলাই মাসজুড়ে সারা দেশে পদযাত্রার পর্যালোচনা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, এনসিপির রাজনৈতিক অবস্থান ও আগামীর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

কক্সবাজার সফর নিয়ে আলোচনা

গত জুলাই মাসে দেশের ৬০টি জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি করেছে এনসিপি। কোন জেলায় কর্মসূচি কেমন হলো, কোথায় আরও ভালো করা যেত—এসব বিষয় নিয়ে সাধারণ সভায় আলোচনা হয়। গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার পর মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে পদযাত্রা করেনি এনসিপি। আর ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে পদযাত্রা হয়নি। এই পাঁচ জেলায় শিগগিরই পদযাত্রা আয়োজনের ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে কোনো তারিখ ঠিক হয়নি।

৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভায় সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, এই ঘোষণাপত্রে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।

৫ আগস্ট এনসিপির পাঁচ নেতার কক্সবাজার সফর ঘিরে সৃষ্ট বিতর্ক নিয়েও সভায় দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়। আলোচনায় নেতাদের অনেকে বলেছেন, ৫ আগস্টের মতো ঐতিহাসিক একটি দিনে এমন সফরে যাওয়ার ক্ষেত্রে এনসিপির ওই নেতাদের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে যেভাবে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ হয়েছে, যেভাবে এনসিপি নেতাদের ওপর অযাচিত গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার কথাও বলেছেন নেতাদের অনেকে।

‘আপসকামিতা বা হঠকারিতা নয়’

সাধারণ সভায় অংশ নেওয়া এনসিপির চারজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা বলেন, এনসিপি নির্বাচন পেছাতে চায়—বিভিন্ন পক্ষের পরিচালিত এমন প্রচারণা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। তবে এনসিপি এমন কোনো তৎপরতায় যাবে না। পরবর্তী নির্বাচন নয়, বরং সংস্কারের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টি এ মুহূর্তে দলের প্রধান অগ্রাধিকার। এর জন্য রাজনৈতিক চাপ তৈরি করবে এনসিপি।

এনসিপি ফ্রিডম পার্টির মতো আপসকামী যেমন হবে না, তেমনি জাসদের মতো হঠকারীও হবে না—এটি আলোচনায় বেশ জোরালোভাবে উঠে আসে বলে জানিয়েছেন এনসিপির একজন দায়িত্বশীল নেতা। তিনি বলেন, এনসিপির নিজেদের লক্ষ্যে পরিষ্কার ও সৎ থেকে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের জন্য কাজ করবে।

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করতে হলে আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী সমাজ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে হবে—এমন কথাও তোলা হয় আলোচনায়। পরে বলা হয়, সামনের দিনে এনসিপি এটি নিয়েও রাজনৈতিকভাবে কাজ করবে।

প্রথমে বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত সভা করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই রাতে বৈঠক মুলতবি হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে আবার বৈঠক শুরু হয় বাংলামোটরের দলীয় কার্যালয়ে। চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। সভা শেষে এনসিপির নেতারা ‘এবার চায় জনগণ, গণপরিষদ নির্বাচন’, ‘বাংলাদেশের সমাধান, নতুন এক সংবিধান’ বলে স্লোগান দেন।

নেতারা জানান, বর্তমান সংবিধান কেন আর চলতে পারে না, কেন নতুন সংবিধান প্রয়োজন—এসব বিষয়ে সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়। এনসিপি নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিকে সামনে রেখে এগোতে চায়।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দিনব্যাপী সাধারণ সভায় মূলত আমাদের আগামীর রাজনৈতিক লাইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিচার, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ, নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ও আলোচনায় এসেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে এগোবে এনসিপি