পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
Published: 16th, September 2025 GMT
পাকিস্তানি শিশুশিল্পী উমর শাহ মারা গেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ‘জিতো পাকিস্তান’খ্যাত এই তারকার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ খবর প্রকাশ করেছে।
উমরের চাচা ও মেন্টর দানিয়াল শাহ জানান, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে হঠাৎ করে উমরের শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বমি করার সময় তার ফুসফুসে তরল ঢুকে পড়ে, যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পড়ুন:
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’
ফারুকীর রহস্যঘেরা ওয়েব সিরিজ ‘৮৪০’ ওটিটিতে
পাকিস্তানি উপস্থাপক ওয়াসিম বাদামি একটি ছবি শেয়ার করে উমরের জন্য দোয়া চেয়েছেন। অনুসারীদের কাছে উমর ও তার পরিবারের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের মতে সোমবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উমরের মৃত্যু হয়েছে।”
উমরের বড় ভাই আহমদ শাহ তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে লেখেন, “আমাদের পরিবারের ছোট্ট জোনাকি উমর শাহ তার স্রষ্টার কাছে ফিরে গেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।” তিনি তার ছোট ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবারের ধৈর্যের জন্য দোয়া চান।
উমরের হঠাৎ মৃত্যু শুধু তার পরিবার নয়, বরং তার লাখো ভক্তকে শোকাহত করেছে। তার নিষ্পাপ হাসি ও শিশুসুলভ আচরণ তাকে জনপ্রিয় করে তোলে, বিশেষ করে তার বড় দুই ভাই আহমদ ও আবু বকরের সঙ্গে একাধিকবার এআরওয়াই ডিজিটালের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নজর কাড়ে উমর।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র পর ব র উমর র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব