খুলনায় নামের বিভ্রান্তিতে ২ কলেজ, প্রতিকার দাবি
Published: 18th, September 2025 GMT
খুলনায় ‘রূপসা কলেজ’ ও ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ প্রতিষ্ঠান দুইটির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হযেছে। একই ধরনের নাম হওয়ায় এক অনুষ্ঠানের চিঠিপত্র অন্য প্রতিষ্ঠানে এবং নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও এক প্রতিষ্ঠানের জায়গায় অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম চলে আসার ঘটনা ঘটছে।
এ বিভ্রান্তি নিরসনে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রূপসা কলেজের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গাইবান্ধায় নেওয়া হলো খুবি শিক্ষার্থীর মরদেহ
খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
কলেজের শিক্ষক রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন শেষে কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রূপসা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৮৬ সালে রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে রূপসা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠান হাজারো শিক্ষার্থীকে জ্ঞানচর্চার আলোয় আলোকিত করেছে। অন্যদিকে রূপসা উপজেলার অপর প্রান্তে ভৈরব নদীর তীরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’ এর নাম পরিবর্তন করে সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তে ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ করা হয়েছে। কিন্তু এমন নামকরণের ফলে বিশেষ করে এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা রকমের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
যেমন, রূপসা কলেজের ডাকযোগে আসা গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র ভুলক্রমে রূপসা সরকারি কলেজে চলে যাচ্ছে এবং সরকারি কলেজের চিঠিপত্র চলে আসছে রূপসা কলেজে। একইভাবে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। এ বছর প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী রূপসা কলেজে ভর্তির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভুলক্রমে আবেদন করেছে রূপসা সরকারি কলেজে।
আরো বলা হয়, অনার্স কোর্সে প্রতি বছর ভাল ফলাফলের জন্য প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আবেদন করলেও এ বছর আবেদন করেছে মাত্র ২৫ জন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতে হলে সরকারের সদ্য নামকৃত ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ এর নাম পরিবর্তন জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি নাম প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়, ওই কলেজটি নাম ‘সরকারি ভৈরব কলেজ’ (কারণ কলেজটি ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত), ‘সরকারি বেলফুলিয়া কলেজ’ (স্থানীয়ভাবে পরিচিত পূর্ব নামানুসারে) রাখা যেতে পারে।
সরকারের প্রতি এ বিভ্রান্তি দ্রুত নিরসন করে রূপসা কলেজকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন, শিক্ষক প্রতিনিধি উদ্ধব চন্দ্র পাল, মো. ইমদাদুল হক, নাসরিন সুলতানা লিমা, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, শ্যামল কুমার দাস, সুলতান আহম্মেদ, নুসরাত জাহান মিলি, শেখ আরিফুজ্জামান, মো. শহিদুল্লাহ, রেজাউল করিম, কেএম বাসার, শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ কল জ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।