চিত্রনাট্যকার লাসলো ক্রাসনাহোরকাই
Published: 16th, October 2025 GMT
‘সাতানট্যাঙ্গো’ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য সাত ঘণ্টা উনিশ মিনিট—শুধু এইটুকু তথ্যই বিস্ময় জাগানোর জন্য যথেষ্ট। এই দীর্ঘতার মধ্যে আছে সময়ের এক অনন্য দার্শনিক অনুসন্ধান—একটি গ্রামের কথা, যেখানে শব্দের চেয়ে নীরবতা বেশি শক্তিশালী, যেখানে মানুষের গতি ধীর হলেও চিন্তার গতি অবিরাম। বেলা তারের পরিচালনায় তৈরি এই ছবির মূল নির্যাস সুদীর্ঘ বাক্যগঠনের জন্য পরিচিত সদ্য নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের লেখা চিত্রনাট্য।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই হাঙ্গেরির এক রহস্যময় সাহিত্যিক। তাঁর অসংখ্য দীর্ঘ বাক্যে গড়া, বিরামহীন প্রবন্ধসদৃশ উপন্যাস ইউরোপীয় সাহিত্যের এক নতুন ভাষা তৈরি করেছে। ১৯৫৪ সালে হাঙ্গেরির গিউলায় জন্ম নেওয়া এই লেখক নিজের সময়কে ভাবেন এক প্রলয়ের অংশ হিসেবে। ‘সাতানট্যাঙ্গো’, ‘দ্য মেলানকলি অব রেজিস্ট্যান্স’, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড গোজ অন’, ‘সেইবো দেয়ার বিলো’র মতো বইগুলো তাঁকে আধুনিক ইউরোপীয় সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখকে পরিণত করেছে। ২০২৫ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণার সময় ক্রাসনাহোরকাইয়ের নামটি অনেকের কাছেই নতুন মনে হয়েছিল, যদিও ইউরোপীয় সাহিত্যে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ লেখক হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখার ধীরগতি, বুনট ভাষা আর অন্তর্মুখী ভাবনার কারণে তাঁর পাঠকসংখ্যা হয়তো কম ছিল, কিন্তু প্রভাব ছিল গভীর। নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁর লেখা এখন আরও বৃহৎ পরিসরে পাঠকের সামনে পৌঁছেছে। সুইডিশ একাডেমির ভাষায়, তিনি এমন শিল্পী, যিনি মানুষের জীবন, সময় আর নৈরাশ্যের অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন, যা প্রচলিত গদ্যের সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। তাঁর লেখার ভঙ্গি শান্ত, কিন্তু ভাবনার গভীরতা পাঠককে ধীরে ধীরে এক ভেতরের জগতে নিয়ে যায় যেখানে ভাষা আর চিন্তা মিলেমিশে যায় নিঃশব্দ প্রবাহে।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই হাঙ্গেরির এক রহস্যময় সাহিত্যিক। তাঁর অসংখ্য দীর্ঘ বাক্যে গড়া, বিরামহীন প্রবন্ধসদৃশ উপন্যাস ইউরোপীয় সাহিত্যের এক নতুন ভাষা তৈরি করেছে। ১৯৫৪ সালে হাঙ্গেরির গিউলায় জন্ম নেওয়া এই লেখক নিজের সময়কে ভাবেন এক প্রলয়ের অংশ হিসেবে। হাঙ্গেরিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা বেলা তার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউর প য় স হ ত য
এছাড়াও পড়ুন:
চিত্রনাট্যকার লাসলো ক্রাসনাহোরকাই
‘সাতানট্যাঙ্গো’ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য সাত ঘণ্টা উনিশ মিনিট—শুধু এইটুকু তথ্যই বিস্ময় জাগানোর জন্য যথেষ্ট। এই দীর্ঘতার মধ্যে আছে সময়ের এক অনন্য দার্শনিক অনুসন্ধান—একটি গ্রামের কথা, যেখানে শব্দের চেয়ে নীরবতা বেশি শক্তিশালী, যেখানে মানুষের গতি ধীর হলেও চিন্তার গতি অবিরাম। বেলা তারের পরিচালনায় তৈরি এই ছবির মূল নির্যাস সুদীর্ঘ বাক্যগঠনের জন্য পরিচিত সদ্য নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের লেখা চিত্রনাট্য।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই হাঙ্গেরির এক রহস্যময় সাহিত্যিক। তাঁর অসংখ্য দীর্ঘ বাক্যে গড়া, বিরামহীন প্রবন্ধসদৃশ উপন্যাস ইউরোপীয় সাহিত্যের এক নতুন ভাষা তৈরি করেছে। ১৯৫৪ সালে হাঙ্গেরির গিউলায় জন্ম নেওয়া এই লেখক নিজের সময়কে ভাবেন এক প্রলয়ের অংশ হিসেবে। ‘সাতানট্যাঙ্গো’, ‘দ্য মেলানকলি অব রেজিস্ট্যান্স’, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড গোজ অন’, ‘সেইবো দেয়ার বিলো’র মতো বইগুলো তাঁকে আধুনিক ইউরোপীয় সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখকে পরিণত করেছে। ২০২৫ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণার সময় ক্রাসনাহোরকাইয়ের নামটি অনেকের কাছেই নতুন মনে হয়েছিল, যদিও ইউরোপীয় সাহিত্যে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ লেখক হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখার ধীরগতি, বুনট ভাষা আর অন্তর্মুখী ভাবনার কারণে তাঁর পাঠকসংখ্যা হয়তো কম ছিল, কিন্তু প্রভাব ছিল গভীর। নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁর লেখা এখন আরও বৃহৎ পরিসরে পাঠকের সামনে পৌঁছেছে। সুইডিশ একাডেমির ভাষায়, তিনি এমন শিল্পী, যিনি মানুষের জীবন, সময় আর নৈরাশ্যের অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন, যা প্রচলিত গদ্যের সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। তাঁর লেখার ভঙ্গি শান্ত, কিন্তু ভাবনার গভীরতা পাঠককে ধীরে ধীরে এক ভেতরের জগতে নিয়ে যায় যেখানে ভাষা আর চিন্তা মিলেমিশে যায় নিঃশব্দ প্রবাহে।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই হাঙ্গেরির এক রহস্যময় সাহিত্যিক। তাঁর অসংখ্য দীর্ঘ বাক্যে গড়া, বিরামহীন প্রবন্ধসদৃশ উপন্যাস ইউরোপীয় সাহিত্যের এক নতুন ভাষা তৈরি করেছে। ১৯৫৪ সালে হাঙ্গেরির গিউলায় জন্ম নেওয়া এই লেখক নিজের সময়কে ভাবেন এক প্রলয়ের অংশ হিসেবে। হাঙ্গেরিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা বেলা তার