রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসা, রাহাজানি, চাঁদাবাজিসহ বহু মামলার আসামি ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাজু প্রধান ওরফে ছিঁচকে চোরা ইয়াবা রাজু পুলিশের খাতায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ছ্যাঁচড়া চোর থেকে রাজু কিশোর গ্যাং ‘কুত্তা বাহিনী’ গড়ে তোলে। 

ভোলাবো ইউনিয়নে তার বাহিনীর ক্যাডার সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০ জন। এ বাহিনীর ক্যাডাররা এখনও চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই, নারী নির্যাতন, ভুমিদস্যুতা ও ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত।

অনেকের প্রয়োজনে ভোলাবো পুলিশ ফাঁড়িতেও সালিশদার হিসেবেও যাচ্ছেন এই রাজু প্রধান। এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছিঁচকে চোর থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাজু প্রধান।

এলাকাবাসী জানান, ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাজু প্রধান এর দৃশ্যমান কোনো পেশা নেই। চুরি-চামারি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সে অর্থ আদায় করত। একে মেরে, ওকে হুমকি দিয়ে ও চাঁদাবাজি করে তার দিন কাটত। অস্ত্র বিক্রি ও অস্ত্র ভাড়া দিয়ে সে অর্থ কামাই করত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ভোলাবো ইউনিয়নের কুড়িয়াইল এলাকার আজিজুল হক ওরফে আজু ডাকাতের পুত্র রাজু প্রধান ওরফে ছিঁচকে চোরা ইয়াবা রাজু এক সময় এলাকায় ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত ছিল।

পরবর্তিতে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের ব্যবসা শুরু করে এবং কিশোর গ্যাং ‘কুত্তা বাহিনী’ গড়ে তোলে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জুয়ার বোর্ড পরিচালনা, সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই, নারী নির্যাতন, ভুমিদস্যুতা ও ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

এলাকার সাধারন মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে মাটি কেটে বিক্রি করে দিত এই রাজু প্রধান। এক পর্যায়ে এ ছিঁচকে চোর থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া রাজু প্রধান ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে তার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।

আওয়ামীলীগ সরকারের পুরোটা সময় তার জ্বালায় অতিষ্ঠ ছিল ভোলাবো ইউনিয়নবাসি। শুধু তাই নয়, এই রাজু প্রধান তার গর্ভধারিনী মাকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরও অপকর্ম থেকে থেমে নেই ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাজু প্রধান।

এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করছে ছিঁচকে চোর থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাজু প্রধান। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসী।

তবে, এ ব্যাপারে ভোলাবো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাজু প্রধান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।          

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, রাজু প্রধানসহ ডেবিলদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

যারা এলাকায় উস্কানিমূলক কথাবার্তা ছড়িয়ে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাসাধ্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজু প্রধানকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক ল গ র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ প রক শ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলায় হামলার ‘পরিকল্পনা নেই’, বললেন ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ভেনেজুয়েলার আশপাশে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে— ট্রাম্প প্রশাসন কারাকাসে সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে নৌ-বাহিনীর আটটি জাহাজ মোতায়েন করেছে। পুয়ের্তো রিকোতে রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এফ-৩৫  যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর একটি বহর (এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ) অঞ্চলটির দিকে রওনা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্যারিবীয় সাগরের পুয়ের্তো রিকো যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চল।

ওয়াশিংটনের দাবি, সরকার পরিবর্তন নয়, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করাই এই বিপুল সামরিক শক্তি মোতায়েনের উদ্দেশ্য।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি (ভেনেজুয়েলায়) হামলার কথা বিবেচনা করছেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না।’ ট্রাম্প মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ থেকে ফ্লোরিডা যাচ্ছিলেন।

ওয়াশিংটন গত সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় অঞ্চল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদক চোরাচালান যুক্ত নৌযান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন। ১৪টি নৌযান ও একটি আধা-ডুবোজাহাজ ধ্বংস হয়েছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ‘গোপন অভিযান’ ঠেকাতে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ভেনেজুয়েলা২৬ অক্টোবর ২০২৫

ওই সব ছোট নৌযানকে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসনে। তাঁদের অভিযোগ, এসব নৌযান মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নৌযানগুলোতে সুনিশ্চিতভাবে চোরাকারবারি থেকে থাকলেও এসব হামলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি মোতায়েনের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বি-৫২ ও বি-১বি বোমারু বিমান চক্কর দিয়েছে। গত সোমবার সর্বশেষ এসব বোমারু বিমানকে সেখানে চক্কর দিতে দেখা গেছে।

নৌযানে হামলা ও সামরিক শক্তি মোতায়েনের ফলে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন কারাকাসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে এবং এ অঞ্চলে ‘কৃত্রিম যুদ্ধ পরিস্থিতি’ তৈরি করেছে।

আরও পড়ুনসিআইএর গোপন অভিযান: ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়ালে পরিণতি কী হবে১৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ