রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার (১ নভেম্বর) জানিয়েছে, এক রাতের মধ্যে ইউক্রেনের মোট ৯৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় এসব হামলায় হতাহতের কোনো তথ্য উল্লেখ্য করেনি রুশ কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।

মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে লিখেছে, ‘৩১ অক্টোবর মস্কো সময় রাত ৮টা থেকে ১ নভেম্বর সকাল ৭টা পর্যন্ত রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিয়েভের ৯৮টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।’

আরো পড়ুন:

কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৩, আহত ৩১

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম ক্যালিবার জানিয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনী মোট ৪৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বেলগোরোড অঞ্চলে।

সামারা অঞ্চলে আরো ১২টি এবং রাজধানী লক্ষ্য করে ছোড়া মস্কো অঞ্চলে ১১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

এছাড়া ভোরোনেজ এবং রোস্তভ অঞ্চলে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ১০টি করে ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনীয় হামলার শিকার অন্যান্য অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে তুলা, লিপেটস্ক, রিয়াজান, কুরস্ক এবং কালুগা। এসব অঞ্চলে অল্প সংখ্যক ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরুর পর থেকে রাশিয়া বিশেষ করে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক লক্ষ্য করে প্রায় নিয়মিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। 

পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে, ইউক্রেনও রাশিয়ার তেল শোধনাগার এবং অন্যান্য জ্বালাপনি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ভ প ত ত কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাঝে মধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কী আমাদের লোক’: আইজিপি

পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক ও কার্যনির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

গেল এক বছর পুলিশ প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বাহারুল আলম বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে আইজিপি হিসেবে দায়িত্বপালনের সময়টা মোটেই সুখকর নয়। আমাকে প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেই শুরু করতে হয়েছে এবং আমাকেও মাঝে মধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কী আমাদের লোক?’ ধারাবাহিকভাবে এমন কথা শুনতে হয় বলে জানান তিনি।

আজ শনিবার রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বাহারুল আলম। যৌথভাবে এই গোলটেবিলের আয়োজন করে প্রথম আলো ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতি। বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

বৈঠকের শুরুতে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ নিয়ে একটি প্রবন্ধ তুলে ধরেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অবসরপ্রাপ্ত) ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইয়াসমিন গফুর।

রাজনৈতিক সরকারই দেশ চালাবে এবং তারাই অভিভাবক উল্লেখ করে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘উনারাই (রাজনৈতিক সরকার) তো আমাদের অভিভাবক, আমি মনে করি; সে জায়গাটায় কেন আমি যেতে পারছি না এবং সে ভয় থেকেই আমরা (পুলিশ) বলি, আমাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, কার্যনির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত করে একটা ইনডিপেনডেন্ট বডির আন্ডারে (স্বাধীন বিভাগের অধীনে) আমাকে নিয়ে যান, ওই ভয় থেকেই; ওই আস্থাটা কেন আমি পাচ্ছি না যে, উনারাই করবেন। উনারা দেশ চালাবেন, কিন্তু উনারা কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না, সে জায়গাটায় কবে যাব আমি?’

আরও পড়ুনগোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার না হলে পুলিশ সংস্কার অর্জিত হবে না: ইফতেখারুজ্জামান১ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলো-অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। আজ শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ