ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ৫ বাংলাদেশি বোলার
Published: 18th, October 2025 GMT
ওয়ানডেতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশকে কখনোই বলা যায়নি আধিপত্য বিস্তারকারী দল। তবে বল হাতে বাংলাদেশের কয়েকজন বোলার বরাবরই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজেও তাদের সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা দেখার প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।
বাংলাদেশের বর্তমান দলেও রয়েছেন এমন কয়েকজন বোলার ও অলরাউন্ডার, যাদের ইতিহাস আছে ‘রেড জায়ান্টস’দের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ থেকে শুরু করে অতীতের কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মুর্তজা পর্যন্ত; চলুন দেখে নেওয়া যাক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা পাঁচ বোলারের তালিকা।
আরো পড়ুন:
টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড
৫) আবদুর রাজ্জাক: ১৯ উইকেট
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক নীরব নায়ক বলা যায় আবদুর রাজ্জাককে। দেশের ইতিহাসে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন ৪.
৪) সাকিব আল হাসান: ২৪ উইকেট
দেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসান আছেন এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ২৪, ইকোনমি রেট ৩.৭৬। ২০২১ সালে মিরপুরে জেসন মোহাম্মদদের বিপক্ষে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ৪/৮। যেখানে টপ ও মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনি। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে।
৩) মেহেদি হাসান মিরাজ: ২৭ উইকেট
বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ এই তালিকায় তৃতীয়। ১৯ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ২৭, ইকোনমি রেট ৪.৩৪। ২০২১ সালে মিরপুরেই তার সেরা বোলিং ৪/২৫। যেখানে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে খেলে প্রতিপক্ষকে ১৪৮ রানে গুটিয়ে দেন মিরাজ। আর বাংলাদেশ জয় পায় ৭ উইকেটে। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
২) মোস্তাফিজুর রহমান: ২৮ উইকেট
বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নির্ভরতার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। ‘দ্য ফিজ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে নিয়েছেন ২৮ উইকেট, ইকোনমি রেট ৪.৮৮। ২০১৯ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি তুলে নেন দুর্দান্ত ৪/৪৩। যেখানে জেসন হোল্ডারের দল থেমেছিল ২৪৭ রানে। এরপর বাংলাদেশ সহজেই জয় তুলে নেয় ৫ উইকেটে।
১) মাশরাফি বিন মুর্তজা: ৩০ উইকেট
বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা এই তালিকার শীর্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯ ম্যাচে তার শিকার ৩০ উইকেট। এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। চোটে জর্জরিত ক্যারিয়ারে একের পর এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা এই মানুষটির সেরা পারফরম্যান্স এসেছিল ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে। ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। সেই স্পেলেই ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং অর্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই পাঁচজনই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একেকটি অধ্যায়। সাকিবের স্পিন জাদু, মোস্তাফিজের কাটার, মিরাজের ধারাবাহিকতা কিংবা মাশরাফির নেতৃত্ব; প্রতিবারই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছে এই বোলাররা। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজেও তাদের উত্তরসূরিদের কাছ থেকে ঠিক এমনই কিছু দেখতে চান ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড উইক ট ব
এছাড়াও পড়ুন:
আরও পাঁচটি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
নতুন করে আরও পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৮।
পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হচ্ছে সাভারের পাকিজা নিট কম্পোজিট, টঙ্গী বিসিকের ফ্যাশন প্লাস, ঢাকা ইপিজেডের গাভা প্রাইভেট লিমিটেড, চট্টগ্রামের ভিজুয়াল নিটওয়্যারস ও টালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে পাঁচটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
নতুন সনদ পাওয়া পাঁচ কারখানার মধ্যে তিনটি লিড প্লাটিনাম আর দুটি লিড গোল্ড পেয়েছে। প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে পাকিজা নিট কম্পোজিট, ফ্যাশন প্লাস ও গাভা প্রাইভেট লিমিটেড। অন্যদিকে ভিজুয়াল নিটওয়্যারস ও টালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড পেয়েছে লিড গোল্ড সনদ।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বাংলাদেশের যে ২৬৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১১৪টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১৩৫টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। বাকি ১৬টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১২টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।