ওয়ানডেতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশকে কখনোই বলা যায়নি আধিপত্য বিস্তারকারী দল। তবে বল হাতে বাংলাদেশের কয়েকজন বোলার বরাবরই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজেও তাদের সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা দেখার প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।

বাংলাদেশের বর্তমান দলেও রয়েছেন এমন কয়েকজন বোলার ও অলরাউন্ডার, যাদের ইতিহাস আছে ‘রেড জায়ান্টস’দের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ থেকে শুরু করে অতীতের কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মুর্তজা পর্যন্ত; চলুন দেখে নেওয়া যাক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা পাঁচ বোলারের তালিকা।

আরো পড়ুন:

টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড

৫) আবদুর রাজ্জাক: ১৯ উইকেট
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক নীরব নায়ক বলা যায় আবদুর রাজ্জাককে। দেশের ইতিহাসে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন ৪.

৯০ ইকোনমি রেটে। ২০০৯ সালে তার সেরা বোলিং ফিগার ৪/৩৯। সেই ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ৫২ রানের জয়ে নেতৃত্ব দেন রাজ্জাক, পান ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

৪) সাকিব আল হাসান: ২৪ উইকেট
দেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসান আছেন এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ২৪, ইকোনমি রেট ৩.৭৬। ২০২১ সালে মিরপুরে জেসন মোহাম্মদদের বিপক্ষে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ৪/৮। যেখানে টপ ও মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনি। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে।

৩) মেহেদি হাসান মিরাজ: ২৭ উইকেট
বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ এই তালিকায় তৃতীয়। ১৯ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ২৭, ইকোনমি রেট ৪.৩৪। ২০২১ সালে মিরপুরেই তার সেরা বোলিং ৪/২৫। যেখানে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে খেলে প্রতিপক্ষকে ১৪৮ রানে গুটিয়ে দেন মিরাজ। আর বাংলাদেশ জয় পায় ৭ উইকেটে। ম্যাচসেরাও হন তিনি।

২) মোস্তাফিজুর রহমান: ২৮ উইকেট
বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নির্ভরতার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। ‘দ্য ফিজ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে নিয়েছেন ২৮ উইকেট, ইকোনমি রেট ৪.৮৮। ২০১৯ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি তুলে নেন দুর্দান্ত ৪/৪৩। যেখানে জেসন হোল্ডারের দল থেমেছিল ২৪৭ রানে। এরপর বাংলাদেশ সহজেই জয় তুলে নেয় ৫ উইকেটে।

১) মাশরাফি বিন মুর্তজা: ৩০ উইকেট
বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা এই তালিকার শীর্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯ ম্যাচে তার শিকার ৩০ উইকেট। এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। চোটে জর্জরিত ক্যারিয়ারে একের পর এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা এই মানুষটির সেরা পারফরম্যান্স এসেছিল ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে। ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। সেই স্পেলেই ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং অর্ডার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই পাঁচজনই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একেকটি অধ্যায়। সাকিবের স্পিন জাদু, মোস্তাফিজের কাটার, মিরাজের ধারাবাহিকতা কিংবা মাশরাফির নেতৃত্ব; প্রতিবারই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছে এই বোলাররা। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজেও তাদের উত্তরসূরিদের কাছ থেকে ঠিক এমনই কিছু দেখতে চান ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড উইক ট ব

এছাড়াও পড়ুন:

ধরন বুঝে কেন টিভি কেনা জরুরি

ঘরে আর যা-ই থাকুক না কেন, একটি টেলিভিশন না থাকলে কি চলে? যতই আমরা আজকাল মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপে সিরিজ বা সিনেমা উপভোগ করি না কেন, টিভি দেখার ব্যাপারটিই যেন ভিন্ন। আয়োজন আর আয়েশ করে কিছু দেখতে গেলে টিভির কোনো জুড়ি নেই বললেই চলে।

তবে টিভি কিন্তু এখন আর একমুখী কোনো যন্ত্র নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে একেবারে স্মার্ট, মাল্টি-ফাংশনাল ও ইন্টারঅ্যাকটিভ। তাই টিভি কেনার সময় শুধু ব্র্যান্ড বা দাম নয়, খেয়াল রাখতে হবে চাহিদা, ফিচার, প্রযুক্তি ও পারফরম্যান্সের সঠিক ভারসাম্য।

বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের টিভি—এলইডি, কিউএলইডি, মিনি-এলইডি ও ওএলইডি। এ ছাড়া আধুনিক স্মার্ট টিভিতে যুক্ত হয়েছে এআই প্রসেসিং, ভয়েস কন্ট্রোল, স্মার্ট হাব ও গেমিং ফিচারের মতো বৈশিষ্ট্য। তাই টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি।

স্ক্রিন প্রযুক্তি

স্ক্রিনের ওপর ভিত্তি করে এখন বিভিন্ন ধরনের টিভি পাওয়া যায়—এইচডি/এফএইচডি, ইউএইচডি, কিউএলইডি, ওএলইডি ও নিও কিউএলইডি এইটকে। এফএইচডি ও ইউএইচডি টিভি হলো সবচেয়ে প্রচলিত ও বাজেট-বান্ধব অপশন। এতে লাইট এমিটিং ডায়োড ব্যাকলাইট হিসেবে কাজ করে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এবং স্ক্রিনের আয়ুষ্কাল তুলনামূলক বেশি থাকে। খবর, টক শো, সিনেমা বা দৈনন্দিন সিরিজ দেখার জন্য এটি যথেষ্ট ভালো। তবে কালার ও নিখুঁত কনট্রাস্টের দিক থেকে এলইডি কিছুটা পিছিয়ে।

আর কিউএলইডি টিভি কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তিভিত্তিক। এর ফলে এই টিভিগুলোতে ছবির উজ্জ্বলতা ও পারফরম্যান্স অনেক উন্নত। এতে যেকোনো আলোতেই টিভি দেখা যায় স্বাচ্ছন্দ্যে। এ ছাড়া স্পোর্টস, গেমিং ও অ্যানিমেটেড সিনেমা উপভোগের জন্যও কিউএলইডি হতে পারে আদর্শ বিকল্প।

ওএলইডি টিভি এক ধাপ উন্নত। এখানে প্রতিটি পিক্সেল নিজেই আলো দেয়, তাই ব্ল্যাক লেভেল থাকে গভীর এবং কালার ও ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল হয় অসাধারণ। সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স, গেমিং বা গ্রাফিক্সভিত্তিক কনটেন্ট দেখার জন্য ওএলইডি টিভি সেরা। তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি।

স্ক্রিন সাইজ, সাউন্ড ও রেজল্যুশন

টিভির আকার বাছাই করার সময় ঘরের আয়তন ও দেখার দূরত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোট রুমের জন্য ৩২ থেকে ৪৩ ইঞ্চির টিভি যথেষ্ট, যেখানে বড় ড্রয়িংরুমের জন্য ৫৫ থেকে ৮৫ ইঞ্চি বেশি উপযুক্ত। এখানে রেজল্যুশনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীর পছন্দও বড় ভূমিকা রাখে।

এইচডি টিভিগুলো এখন অনেক পুরোনো ধরা হয়, তবে ফুল এইচডি এখনো ভালো মানের ভিউ দেয়। কিন্তু ফোরকে টিভিই এখন মূলধারায় রয়েছে। এতে ছবির ডিটেইল ও শার্পনেস অনেক বেশি। তবে ভালো ছবি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভালো সাউন্ডও।

টিভির বিল্ট-ইন স্পিকারে যদি ডলবি অ্যাটমস বা ডিটিএস এক্স সাপোর্ট থাকে, তাহলে সাউন্ড হয় আরও ইমার্সিভ। তবে বড় ঘরে সিনেমা হলের মতো এক্সপেরিয়েন্স পেতে সাউন্ডবার বা হোম থিয়েটার সিস্টেম যুক্ত করা যেতে পারে।

প্রযুক্তির জন্য স্যামসাংয়ের টিভিগুলোতে ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি আরামদায়ক ও স্বস্তিকর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোছানো ‘সংসার’ ভাঙতে চান না লিটন!
  • লিটনের বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত, তবে…
  •  শিশুদেরকে নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করতে হবে : আরিফুর রহমান    
  • মাহিদুল নাকি শামীম?
  • শামীমকে নিয়ে, ‘নো কমেন্টস’
  • ধরন বুঝে কেন টিভি কেনা জরুরি