"এসো নেশা ছেড়ে কলম ধরি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি" এই স্লোগানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার হাটাব চাঁদের টেক এলাকার সামাজিক সংগঠন বৃহত্তর হাটাব সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে এ মাদক বিরোধী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রথমে হান্ডিমার্কেট থেকে শুরু হয়ে বাড়ৈপাড়, চাঁদের টেক, আতলাশপুর, হাটাব বাজার সহ আশপাশের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা প্রদক্ষিণ করে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধী। একজন মাদকাসক্ত পরিবারের জন্য হুমকি, সমাজের জন্য হুমকী। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে বৃহত্তর হাটাব সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে মাদক বিরোধী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় যে কোন মূল্যে হাটাব চাঁদের টেক ও তার আশপাশ থেকে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীদের উৎখাত করা হবে।

এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহবায়ক ওমর ফারুক, সদস্য রাজু জুয়েল, বদরুজ্জামান বদরুল, মাহবুবুর রহমান (শাকিল), ওবায়দুল হক জুয়েল, জাকারিয়া রোমান, সিয়াম মোল্লা, কাজী রোমান, ফরিদুল ইসলাম, রাছেল মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, নাদিম সিকদার, রুহুল মিয়া, মিনহাজুল হক মুমিত, রবিউল ইসলাম, মিজানুর রহমান, ওয়াহিদুর রহমান শাহেদ, শাহ আলম মিয়া প্রমুখ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ