কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
Published: 1st, November 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা নতুন করে বাণিজ্য আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (১ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের বক্তব্য ব্যবহার করে তৈরি করা কানাডার একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
ট্রাম্প-জিনপিংয়ের বৈঠক ‘সফল’, যেসব বাণিজ্য বিরোধের ‘রফা’
শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ওই বিজ্ঞাপনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পুনরারম্ভ আর হবে না।
তিনি বলেন, “আমি তাকে খুবই পছন্দ করি, কিন্তু তারা যা করেছে তা ভুল ছিল। বিজ্ঞাপনটি ভুয়া ছিল বলে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।”
অন্যদিকে, কার্নির দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করেন এবং কানাডার পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
অন্টারিও প্রদেশ সরকারের প্রচারিত বিজ্ঞাপনটিতে রিপাবলিকান নেতা রোনাল্ড রিগানের ভাষণের অংশ উদ্ধৃত করে বলা হয়, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ বাণিজ্যযুদ্ধ সৃষ্টি করে এবং কর্মসংস্থান হ্রাস করে। বিজ্ঞাপনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হলে ট্রাম্প একে ‘ভুয়া’ আখ্যা দেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের দল রিগানের পুরোনো ভাষণ থেকে অংশ কেটে এক মিনিটের ওই বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিল, যদিও ব্যবহৃত বাক্যগুলো রিগানের মূল বক্তব্য থেকেই নেওয়া হয়েছিল।
বিতর্কের পর ডগ ফোর্ড বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিত করেন এবং জানান, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, কানাডা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রই কানাডার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক নীতির কারণে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি
আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তাকে ‘অশ্বডিম্ব’ বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন।
‘জগাখিচুড়ি মার্কা’ কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার দিকটি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংলাপে ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন সাজ্জাদ জহির। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ ও গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চারটি ধারাবাহিক কর্মশালা করেছে সিজিএস। তার সমাপনী অনুষ্ঠান হিসেবে আজকের সংলাপ হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। নানা প্রশ্নে বিভিন্ন দলের আপত্তির বিষয়গুলো সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ার তফসিলে না থাকা নিয়ে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, আবার গণভোটের সময় নিয়েও দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে একধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্ন মত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’
গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’
সিপিবির সভাপতি বলেন, এসব জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন। তবে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ সরকার সেটি শোনেনি।