বাবা হওয়ার কোনো বয়স আছে? সত্তরে কেলসির চমক
Published: 1st, November 2025 GMT
নারীদের মেনোপজ ৪৫-৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে। তারপর ডিম্বাশয় নারী হরমোন ইস্ট্রোজেন প্রজেস্টেরন উৎপাদনের ক্ষমতা হারায়। ফলে নারীরা প্রজনন ক্ষমতা হারান। পুরুষেরও কি তেমনটা হতে পারে? কত বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষ বাবা হতে পারেন? যদিও এর নির্ধারিত বয়স সীমা নেই।
তবে কোনো কোনো পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন ৪৫-৫০ বছর বয়সেই কমতে শুরু করে। এসব সংকটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সত্তর বছর বয়সে বাবা হয়ে চমক দেখালেন ‘গোল্ডেন গ্লোব’ বিজয়ী মার্কিন অভিনেতা কেলসি গ্রামার। কয়েক দিন আগে তার চতুর্থ স্ত্রী কেট ওয়াশ পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছেন। কেট ওয়াশের বয়সও নেহায়েত কম নয়, এখন তার বয়স ৪৬ বছর। এ দম্পতি ছেলের নাম রেখেছেন ক্রিস্টোফার। কেলসির এটি অষ্টম সন্তান।
আরো পড়ুন:
সিনেমাটির ভরাডুবি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে: অনুপমা
বিয়ের আসরে দেখা দিলেন নিপুণ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পিপল জানিয়েছে, পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনে আনন্দে ভাসছেন কেলসি গ্রামার-কেট দম্পতি। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কেলসি-কেট দম্পতির আরো তিনটি সন্তান রয়েছে।
স্ত্রী কেট ওয়াশের সঙ্গে কেলসি
কয়েক দিন আগে ‘পড মিটস ওয়ার্ল্ড’ পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হন কেলসি গ্রামার। এ আলাপচারিতায় ‘ফ্রেইজা’ তারকা বলেন, “আমরা (কেলসি-কেট) আমাদের চতুর্থ সন্তানকে পেয়েছি। ক্রিস্টোফার আমাদের পরিবারে সদ্য যোগ দিয়েছে। এখন আমাদের মোট আট সন্তান।”
কেলসির চতুর্থ স্ত্রী কেট ওয়াশের বয়স এখন ৪৬ বছর। ২০১১ সালে বিয়ে করেন এই দম্পতি। কেলসি বলেন, “আমাদের (কেলসি-কেট) প্রথম সন্তানের (কন্যা) নাম ফেইথ, তার বয়স ১২ বছর, দ্বিতীয় সন্তানের (পুত্র) নাম গ্যাব্রিয়েল, তার বয়স ১০, তৃতীয় সন্তানের (পুত্র) নাম জেমস, তার বয়স ৮ বছর। আমাদের চতুর্থ সন্তান (পুত্র) ক্রিস্টোফার।”
১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট থমাসে জন্মগ্রহণ করেন কেলসি। ১৯৮২ সালে ডোরিন অল্ডারম্যানকে প্রথম বিয়ে করেন এই অভিনেতা। ১৯৮৩ সালে প্রথম বাবা হন কেলসি। এই কন্যার নাম রাখেন স্পেন্সার গ্রামার। ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হন কেলসি। অভিনেত্রীর বান্ধবী ব্যারি বাকনা এ সন্তানের মা। তারা কন্যার নাম রাখেন গ্রিয়া গ্রামার।
স্ত্রী কেট ওয়াশের সঙ্গে কেলসি
দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হওয়ার কয়েক মাস পর নৃত্যশিল্পী লে-অ্যান চুহানিকে বিয়ে করেন কেলসি। এ সংসারে কোনো সন্তান নেই। বিয়ের এক বছর পরই ভেঙে যায় তাদের সংসার। ১৯৯৭ সালে মডেল-অভিনেত্রী ক্যামিল গ্রামারকে বিয়ে করেন কেলসি। এ দম্পতির দুটো সন্তান রয়েছে। তাদের নাম রাখেন—ম্যাসন, জুড। ২০১০ সালে এ সংসারও ভেঙে যায়। তৃতীয় সংসার ভাঙার এক বছর পর কেট ওয়াশকে বিয়ে করেন এই অভিনেতা।
২০২২ সালে পিপলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেলসি গ্রামার বলেন—“প্রতিদিন আমার সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দ, পৃথিবীর সেরা অনুভূতি। সন্তানেরাই আমার জীবনের বড় অংশ।”
১৯৮৩ সালের ৯ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন কেলসির প্রথম সন্তান স্পেন্সার গ্রামার। তার বয়স এখন ৪২ বছর। মাত্র ৯ বছর বয়সে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। তারপর থেকে সফল অভিনয় ক্যারিয়ার উপভোগ করছেন এই অভিনেত্রী। জেমস হেস্কেথকে বিয়ে করেছেন স্পেন্সার। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অর্থাৎ অভিনেতা কেলসি গ্রামার যখন চতুর্থ বিয়ে করেন, তখন তার বড় কন্যা প্রথম সন্তানের মা হন।
কেলসির কন্যা স্পেন্সার গ্রামার
১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন কেলসি গ্রামারের দ্বিতীয় সন্তান গ্রিয়া গ্রামার। তার এই কন্যার বয়স এখন ৩৩ বছর। বাবা ও বড় বোনের পথ অনুসরণ করে বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছেন গ্রিয়া। ২০১০ সালে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে তার। দারুণ সব কাজ উপহার দিয়ে নজর কেড়েছেন এই তরুণ অভিনেত্রী।
২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন কেলসির তৃতীয় কন্যাসন্তান ম্যাসন গ্রামার। তার বয়স এখন ২৪ বছর। ২০১০ সালে ম্যাসনের মা ক্যামিল গ্রামারের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে কেলসির। সেই সময়ে পেজ সিক্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাসন বলেছিলেন—“বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ আমার উপরে ভীষণ প্রভাব ফেলেছিল। সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। তারপর আমাকে দ্রুত বড় হতে হয়েছিল। কারণ আমার অনেক দায়িত্ব ছিল।”
ম্যাসনও শোবিজ অঙ্গনে পা রেখেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকের রানওয়েতে হাঁটেন তিনি। যদিও তার মনোযোগ ছিল পড়াশোনায়। ২০২৪ সালে বোস্টনের এমারসন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ম্যাসন। এখন মডেলিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
কেলসির কন্যা গ্রিয়া গ্রামার
২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কেলসির চতুর্থ সন্তান জুড। সারোগেসির মাধ্যমে তার জন্ম হয়। এখন জুডের বয়স ২১ বছর। কেলসির সঙ্গে ক্যামিল গ্রামারের বিবাহবিচ্ছেদের পর জুড ও তার বোন ম্যাসন তার মায়ের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়াতে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে পেজ সিক্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুত্রকে নিয়ে কেলসির তৃতীয় স্ত্রী ক্যামিল বলেন, “আমি জানি সে (জুড) তার বাবার মতো একজন অভিনেতা হতে চায়।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ব ত য় সন ত ন ত য় সন ত ন র র বয়স এখন বছর বয়স ন ম য সন ত র বয়স আম দ র ক লস র প রথম বছর ব
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ