কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে স্বাস্থ্য সচিব
Published: 31st, October 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মঈনুল হাসান।
আরো পড়ুন:
সকালে মুখ ফুলে যায় যে পাঁচ কারণে
কুমিল্লায় হাসপাতালে ১১ দালাল গ্রেপ্তার
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সচিব হাসপাতালটির নির্মাণাধীন ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের নির্মাণ কাজ ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জনবল নিয়োগ, আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ অন্যান্য সব কাজও যথাসময়ে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।
সাইদুর রহমান বলেন, “উত্তরা এলাকায় একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় এখানে জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা অনেক। সেই তুলনায় হাসপাতালের প্রস্তুতি দুর্বল। জরুরি বিভাগকে আরো বেশি কার্যকর করা, জরুরি অপারেশনের ব্যবস্থা করা এবং বন্ধ হওয়া ১০টি আইসিইউ দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে।”
হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাসহ সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন স্বাস্থ্য সচিব।
পরিদর্শনকালে রোগীদের জন্য দেওয়া খাবার পরীক্ষা করে সন্তোষজনক পাওয়া যায়।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।
আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’
আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’
এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।
 কোনো ভাড়াটিয়া শিল্পপতিদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই : সাখাওয়াত
কোনো ভাড়াটিয়া শিল্পপতিদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই : সাখাওয়াত